মে মাসেই সমুদ্রে রোহিঙ্গা মৃত্যু ৪২৭, জাতিসংঘের সতর্কতা

চলতি মে মাসে সমুদ্রপথে বিপজ্জনক নৌযাত্রায় অন্তত ৪২৭ জন রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। শুক্রবার (২৪ মে) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, মিয়ানমারে মানবিক সংকট ও তহবিল ঘাটতির কারণে রোহিঙ্গারা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সমুদ্রে পাড়ি জমাচ্ছেন।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার তথ্যমতে, ৯ ও ১০ মে ডুবে যাওয়া দুটি নৌকায় প্রায় ৫১৪ জন রোহিঙ্গা ছিলেন। তারা বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে যাত্রা শুরু করেন। ইউএনএইচসিআরের তথ্য অনুযায়ী, তাদের মধ্যে মাত্র ৮৭ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
জাতিসংঘ একে ২০২৫ সালের সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় বলে আখ্যা দিয়েছে। সংস্থাটির আঞ্চলিক পরিচালক হাই কিয়াং জুন বলেন, “তহবিল সংকটের কারণে রোহিঙ্গারা আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ পথে পা বাড়াচ্ছেন। নিরাপদ, সম্মানজনক জীবনের আশায় তারা মরিয়া হয়ে উঠেছেন।”
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর ২০২৫ সালে রোহিঙ্গাদের জন্য ৩৮৩ মিলিয়ন ডলারের তহবিল চাইলেও এখন পর্যন্ত মিলেছে মাত্র ৩০ শতাংশ। মার্চে তহবিল সংকটে পড়ে সংস্থাটি ৩০ কোটি ডলারের বিভিন্ন কার্যক্রম স্থগিত করতে বাধ্য হয়।
এদিকে, জাতিসংঘ জানিয়েছে, বিশ্বজুড়ে প্রতিরক্ষা খাতে বাজেট বাড়ানোর প্রভাবে মানবিক সহায়তার তহবিল কমে যাচ্ছে। এ অবস্থায় সংস্থাটি রোহিঙ্গাদের জীবনযাত্রা স্থিতিশীল করতে বাংলাদেশসহ আশ্রয়দানকারী দেশগুলোতে আন্তর্জাতিক সহায়তা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন