মুক্তিযুদ্ধের মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম মুক্তি পেলেন

মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড পাওয়া জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম বুধবার (২৮ মে) সকাল ৯টা ৫ মিনিটে কারামুক্তি পেয়েছেন। তিনি বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের প্রিজন সেল থেকে মুক্তি লাভ করেন।
মুক্তির পর শাহবাগে জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ নেতা বলেন, “আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই, যাদের কারণে আমি মুক্তি পেয়েছি। ৩৬শে জুলাই ও ৫ আগস্ট মহাবিপ্লবী নায়কদের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং আন্দোলনের জন্য ধন্যবাদ, যার মাধ্যমে স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন সম্ভব হয়েছে। এছাড়া ছাত্র সমাজকেও আমি বিশেষ ধন্যবাদ জানাই, যারা অতীতের গর্ব ও অহংকার পুনরায় প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছেন।”
আজহারুল ইসলাম আরো বলেন, “ছাত্র সমাজ রাস্তায় নেমে, রক্ত দিয়ে দীর্ঘ ১৪-১৫ বছরের ফ্যাসিস্ট সরকারের অত্যাচারের বিরুদ্ধে জনগণকে সাথে নিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলেছে। যার ফলেই বাংলাদেশ নতুনভাবে স্বাধীনতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।”
তিনি সমাবেশ ও পথ অবরোধ প্রসঙ্গে বলেন, “রাস্তায় সমাবেশ করা হয়েছে যাতে জনগণের কোনো ভোগান্তি না হয়। এখন আর কথা বলবো না, আল্লাহ বাঁচিয়ে রাখলে বারবার দেখা ও কথা হবে।”
এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার (২৭ মে) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় মৃত্যুদণ্ডসহ বিভিন্ন কারাদণ্ড থেকে জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের সাজা বাতিল করে তাকে খালাস দেন। ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায় বাতিল হয়েছে। তিনি গণহত্যা, হত্যা, অপহরণ ও নির্যাতনের ছয় ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন