যুদ্ধাপরাধ মামলায় মৃত্যুদণ্ড থেকে জামায়াত নেতার খালাসের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বুধবার, ২৮ মে, ২০২৫, ৪:২৩ অপরাহ্ণ
যুদ্ধাপরাধ মামলায় মৃত্যুদণ্ড থেকে জামায়াত নেতার খালাসের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ড থেকে জামায়াতে ইসলামী নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের খালাসের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা মঙ্গলবার (২৭ মে) বিকাল ৫টায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।

মিছিলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে শুরু হয়ে রাজু ভাস্কর্যের কাছে গিয়ে সমাবেশে পরিণত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক শিমুল কুম্ভকার। তিনি বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের দশ মাস পর একাত্তরের সাজাপ্রাপ্ত আলবদর কমান্ডার আজহার বেকসুর খালাস পেয়েছে। রক্তের উপর দাঁড়ানো এই সরকার আমাদের সঙ্গে বেইমানি করছে। এই সরকারের আমলে একের পর এক মবজাস্টিস, সন্ত্রাসমুক্তি ও একাত্তরের গণহত্যাকারীদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে।”

শিমুল আরও বলেন, “একাত্তরে যারা দালালি করেছে, দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে, তাদের এদেশে রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না। একজন মানবতাবিরোধী ও গণহত্যাকারীর সঙ্গে আপস করা যায় না। যারা আপস করবে, তাদেরও অবস্থা পতিত হাসিনার মতো হবে।”

ছাত্র মৈত্রী সাধারণ সম্পাদক জাবির আহমেদ জুবেল বলেন, “আজ একটি ভয়াবহ ও ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। আমাদের স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার স্বপ্নকে শেষ পেরেক ঠুকে দিয়েছে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। যিনি রংপুর জেলার আলবদর বাহিনীর কমান্ডার ছিলেন এবং যার হাতে রক্ত লেগে রয়েছে, সেই আলবদর আজহারকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের পর আমাদের আশা ছিল জুলাই-অগাস্টের হত্যাকারীদের বিচার করা হবে, যা হয়নি। তার বদলে একাত্তরের দালালদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে এবং তা দেখে আইন উপদেষ্টা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন। আপনারা এই গণঅভ্যুত্থানকে জামাতের কোলে তুলে দিচ্ছেন। আমরা একাত্তরের বিরোধিতাকারীদের বিচার নিশ্চিত করতে বৃহত্তর কর্মসূচির ঘোষণা করব।”

এর আগে, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর এ টি এম আজহারুল ইসলামের রায় বাতিল করে তাকে বেকসুর খালাস দেয়। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারকের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ একমত হয়ে এ রায় প্রদান করে। এটি একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে রিভিউ আবেদনের পর আপিল বিভাগে প্রথমবারের মতো খালাসের রায়। জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের পর সরকারের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এই রায় আসে।