সচিবালয়ে সংকট নিরসনের জন্য ৮ সদস্যের সচিব কমিটি গঠন

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বুধবার, ২৮ মে, ২০২৫, ৩:০৯ অপরাহ্ণ
সচিবালয়ে সংকট নিরসনের জন্য ৮ সদস্যের সচিব কমিটি গঠন

সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চলমান সংকট নিরসনে ৮ সদস্যের একটি সচিব কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ। এই কমিটি বিক্ষোভরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে বৈঠক করবে।

মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এই কমিটি গঠন করা হয়। তথ্যটি জানান বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান বাদিউল কবির। তিনি বলেন, কমিটি আমাদের সঙ্গে বসবে বলে জানিয়েছে, তবে বৈঠক কখন হবে তা এখনও জানা যায়নি।

এদিকে নিরাপত্তা বাধা অতিক্রম করে বিক্ষোভ করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। মঙ্গলবার (২৭ মে) বেলা ১১টার দিকে সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনের পাশে বাদামতলা এলাকায় তারা জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।

বিক্ষোভকালে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন যেমন–
‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’,
‘অবৈধ কালো আইন, বাতিল কর করতে হবে’,
‘কর্মচারী মানে না, অবৈধ কাল আইন’,
‘মানি না মানবো না, অবৈধ কাল আইন’,
‘এক হও লড়াই কর, ১৮ লাখ কর্মচারী’,
‘সচিবালয়ের কর্মচারী, এক হও এক হও’,
‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’।

এদিকে আন্দোলনের কারণে সচিবালয়ে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং গেটগুলোতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। গণমাধ্যমকর্মীদেরও সচিবালয়ে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়নি।

কর্মচারীরা ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ অধ্যাদেশকে ‘নিবর্তনমূলক ও কালাকানুন’ হিসেবে আখ্যায়িত করে এর প্রত্যাহারের দাবি জানান। দাবি না মানা হলে আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন তারা।

বিক্ষোভকারীরা বলেন, কালাকানুন যুক্ত এই অধ্যাদেশ কেউ মেনে নেবে না। ১৯৭৯ সালের সরকারি চাকরির বিশেষ বিধান দেশের সর্বোচ্চ আদালত ইতোমধ্যেই বাতিল করেছে। সেই বাতিল বিধান পুনরুজ্জীবিত করা নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করবে। বর্তমান সরকার সেটাই করেছে। এর ফলে কর্মচারীদের অধিকার ক্ষুণ্ন হবে এবং কর্মকর্তাদের রোষানলে পড়তে হবে। তাই এই অধ্যাদেশ বাতিল করা অপরিহার্য। না হলে যেকোন মূল্যে প্রতিহত করা হবে। প্রয়োজনে তারা আইন মন্ত্রণালয়ের সব রুমে তালা দেবেন বলেও ঘোষণা দেন।