সীমান্ত দিয়ে বেআইনিভাবে বাংলাদেশি পুশইন বৃদ্ধি ও ভারতের প্রতি কড়া প্রতিবাদ

সীমান্ত দিয়ে বেআইনিভাবে বাংলাদেশি পুশইন বেড়ে যাওয়ায় প্রতিবেশী ভারতকে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ। ভারতের কাছে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, কোনো ব্যক্তি যদি প্রকৃত বাংলাদেশি হন, তবে সঠিক কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে ফেরত পাঠালে তাঁকে গ্রহণ করা হবে।
মঙ্গলবার (২৭ মে) রাজশাহীতে কারা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এসব কথা বলেন। তিনি জানান, পুশইনের ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ে ভারত সরকারের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা ভারতকে বলেছি, পুশইন বন্ধ করতে হবে। যদি আমাদের নাগরিক হয়, প্রোপার চ্যানেলে পাঠালে গ্রহণ করব। কিন্তু তারা তা করছে না, এজন্য আমরা কূটনৈতিকভাবে আপত্তি জানিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সীমান্ত এখন পুরোপুরি নিরাপদ। কোনো অশান্তির আশঙ্কা নেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত আছে। জনগণ নিরাপদে আছেন, এটা নিশ্চিত করতে আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক।’
ঈদ সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘গত ঈদে ভালো ছিল পরিস্থিতি, এবারও যেন ভালো থাকে—সেজন্য আমরা প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছি। আল্লাহ চাইলে এবারও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ঈদ উদযাপন হবে।’
গণমাধ্যমের ভূমিকা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা গঠনমূলক সংবাদ দিন। ভুল বা অতিরঞ্জিত তথ্য যেন প্রতিবেশী দেশকে সুযোগ না দেয়। ভালো সংবাদে দেশের ভাবমূর্তি যেমন উজ্জ্বল হয়, তেমনি আইনশৃঙ্খলাও স্বাভাবিক থাকে।’
দ্রব্যমূল্যের বিষয়ে তিনি জানান, ‘এখন পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে আছে। কৃষকরা ধান ও আলুর ভালো দাম পাচ্ছেন। এটা সম্ভব হয়েছে আপনাদের ইতিবাচক ভূমিকার জন্য।’
কারাগার ব্যবস্থার উন্নয়নে সরকারের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘কারাগারকে সংশোধনাগারে রূপান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সাজাপ্রাপ্তদের পুনর্বাসনের মাধ্যমে সমাজে ফিরিয়ে আনা হবে।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সৈয়দ মোতাহের হোসেন, রাজশাহী বিভাগের ডিআইজি প্রিজন কামাল হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সমাপনী কুচকাওয়াজে ১৮ জন নবীন ডেপুটি জেলা কর্মকর্তা ও ৫০৮ জন নবীন কারারক্ষী ও মহিলা কারারক্ষী অংশ নেন।
আপনার মতামত লিখুন