আখাউড়া পৌরসভায় ১০ লাখ টাকার ‘সৌন্দর্য বর্ধন’ প্রকল্পে টেন্ডারবিহীন কাজ দেওয়ার অভিযোগ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৯ মে, ২০২৫, ৩:১৯ অপরাহ্ণ
আখাউড়া পৌরসভায় ১০ লাখ টাকার ‘সৌন্দর্য বর্ধন’ প্রকল্পে টেন্ডারবিহীন কাজ দেওয়ার অভিযোগ

আখাউড়া পৌরসভায় ১০ লাখ টাকার একটি উন্নয়ন প্রকল্প ‘সৌন্দর্য বর্ধন’ বাস্তবায়নে টেন্ডার বা কোটেশন প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে গোপনে কাজ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় ঠিকাদারদের মধ্যে এ নিয়ে ক্ষোভ ও সমালোচনা দেখা দিয়েছে।

এ প্রকল্প আখাউড়া পৌর শহরের নারায়ণপুর বাইপাস এলাকায় হচ্ছে। এখানে ‘আইলাভ আখাউড়া’ সাইনবোর্ডসহ গুরুত্বপূর্ণ সরকারি অফিস ও দর্শনীয় স্থানগুলোর নাম ও দিক নির্দেশনা স্থাপন করা হচ্ছে। কাজটি করছে কেল্লা শহীদ এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। তবে পৌর কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, কাজটি কোটেশনের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে।

সাধারণত পৌর উন্নয়ন প্রকল্পে টেন্ডার বা কোটেশন আহ্বান করে পত্রিকা ও নোটিশ বোর্ডে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। কিন্তু এই প্রকল্পে কোনো প্রকাশ্য ডাক ছিল না, এমনটাই জানালেন নিয়মিত ঠিকাদাররা।

৪০ বছর ধরে ঠিকাদারি করা মো. আলী ভুঁইয়া বলেন, “এই প্রথম দেখছি টেন্ডার ছাড়া এভাবে কাজ দেয়া হচ্ছে। কোনো নোটিশ পাইনি।”
অন্য ঠিকাদার রাসেল মিয়া বলেন, “কিভাবে বিতর্কিত ঠিকাদারকে কাজ দেওয়া হলো, জানি না। এ ধরনের আচরণ প্রশ্নবিদ্ধ।”

সরেজমিনে দেখা গেছে, কয়েকটি পিলারের ফাউন্ডেশন তৈরি হয়েছে এবং অন্যান্য অংশে কাজ চলছে।
কাজের নামে থাকা ঠিকাদার ইয়াছিন মোল্লা জানালেন, “আমাকে কোনো অফিসিয়াল কার্যাদেশ দেওয়া হয়নি, তবে পৌর কর্তৃপক্ষ আমার কাছ থেকে রড, সিমেন্ট, বালু নিচ্ছেন।”

এ বিষয়ে আখাউড়া পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মো. তানভীর হোসেন জানান, বর্ষাকালের কারণে দ্রুত ‘আরপিও’র মাধ্যমে কাজ শুরু করা হয়েছে। আরপিওতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। কেল্লা শহীদ এন্টারপ্রাইজকে কোটেশনের মাধ্যমে কাজ দেওয়া হয়েছে।

বিতর্কের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক জি.এম. রাশেদুল ইসলাম হস্তক্ষেপ করেছেন। তিনি বলেন, “আমি নতুন আছি, বিতর্কিত ঠিকাদার এভাবে কাজ করতে পারবে না। অভিযোগ পেলে ঠিকাদার পরিবর্তন করা হবে।”