কুড়িগ্রামে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প (২য় ফেজ) অবহিতকরণ সেমিনার

কুড়িগ্রামে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের (২য় ফেজ) অবহিতকরণ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের আয়োজনে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, পেশাজীবী, গণমাধ্যমকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
সেমিনারে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা। বিশেষ আলোচক ছিলেন রংপুর সমাজসেবা অধিদপ্তরের পরিচালক মোছা. জিলুফা সুলতানা।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক মুহা. হুমায়ূন কবির, সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. কামরুল হাসান, সাংবাদিক অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম বেবু, সাইয়েদ আহমেদ বাবু, মো. শাহীন আহমেদ, ফজলুল করিম ফারাজী, সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান, মো. শফিকুল ইসলাম ও মো. আবু সুফিয়ানসহ জেলার ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মীরা।
সেমিনারে জানানো হয়, সমাজসেবা অধিদপ্তরের আওতায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে বেকার ও শ্রমজীবী নারী-পুরুষের জন্য ১০টি সফট স্কিল ট্রেডে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, আর্থিক সহযোগিতা ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
সাংবাদিক সাইয়েদ আহমেদ বাবু বলেন, জেলার প্রায় সাড়ে চারশ’ চরাঞ্চলের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানার আন্তরিক প্রচেষ্টা প্রশংসার দাবিদার। চর এলাকার নারীদের নকশিকাঁথা ও শতরঞ্জি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত করে আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। তিনি সমাজসেবা অধিদপ্তরের আরও সক্রিয় ভূমিকা কামনা করেন।
রংপুর সমাজসেবা অধিদপ্তরের পরিচালক মোছা. জিলুফা সুলতানা বলেন, “রংপুর বিভাগ বিশেষ করে কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান, শিক্ষা ও কারিগরি সহায়তা প্রদানসহ জীবনমান উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করা হচ্ছে। এই কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।”
জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা বলেন, “কুড়িগ্রাম জেলা সবদিক থেকেই পিছিয়ে। তাই অন্যান্য জেলার মতো একক পরিকল্পনায় কাজ না করে, চর ও সমতল এলাকায় ভিন্ন বাজেট ও কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে প্রকল্প বাস্তবায়ন করলে জেলাবাসীর জীবনমানে বাস্তব পরিবর্তন আসবে।”
আপনার মতামত লিখুন