মোহামেডানের শিরোপা উৎসব, আবাহনীর হারে শেষ হলো দীর্ঘ অপেক্ষা

শেষ বাঁশি বাজার আগেই ইতিহাস রচনা করে ফেলল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। আবাহনীর হারেই নিশ্চিত হয়ে গেল ২০০২ সালের পর প্রথম বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা সাদাকালো জার্সিধারীদের।
শনিবার কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে ফর্টিস এফসির বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরেছে আবাহনী লিমিটেড। এই হারে তিন ম্যাচ বাকি থাকতেই ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মোহামেডান। আবাহনী আছে দ্বিতীয় স্থানে, তাদের পয়েন্ট ২৮। ১৫ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে বসুন্ধরা কিংস, যারা এখন রানার্সআপ হওয়ার লড়াইয়ে আবাহনীর প্রতিদ্বন্দ্বী।
ম্যাচ শুরুর আগে হিসাবটা ছিল স্পষ্ট—আবাহনী হারলে মোহামেডানই হবে চ্যাম্পিয়ন। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আবাহনীর শুরুটা ছিল সাদামাটা। ফর্টিস প্রথম থেকেই আক্রমণে চাপ দিতে থাকে। একাদশ মিনিটে ওমার বাবুর শট রক্ষা করে আবাহনীর রক্ষণ।
১৮ মিনিটের মাথায় বৃষ্টি ও বজ্রপাতের কারণে খেলা কিছু সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। খেলা ফের শুরুর পর পেনাল্টি থেকে ফর্টিসকে এগিয়ে দেন পা ওমার, যিনি নিজেই বক্সে ফাউলের শিকার হয়েছিলেন। মাঠে পানি জমে যাওয়ায় খেলায় ছন্দপতন হয় দুই দলেরই।
দ্বিতীয়ার্ধে আবাহনী ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে। ৬৫তম মিনিটে ভালো একটি সুযোগ পেলেও এমেকা ওগবাহর শট আটকে দেন ফর্টিস গোলকিপার সারোয়ার জাহান।
৭৫তম মিনিটে বিতর্কিত মুহূর্ত আসে—আবাহনীর সুমন রেজার সঙ্গে বল দখলের লড়াইয়ে কনুই দিয়ে আঘাত করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন ফর্টিসের মঞ্জুর রহমান মানিক। সুমন পান হলুদ কার্ড। ১০ জনের ফর্টিস এরপরই দ্বিতীয় গোল করে ব্যবধান বাড়িয়ে নেয়। ডিফেন্ডারদের মাঝ দিয়ে সাজেদ জুম্মন নিঝুমের দূরপাল্লার শট পোস্ট ছেড়ে বের হওয়া গোলকিপার মিতুলকে পরাস্ত করে।
৭৮তম মিনিটে একমাত্র গোল শোধ করে আবাহনী। রাফায়েল আগুস্তোর ফ্রি কিকে হেডে জালের দেখা পান মোহাম্মদ হৃদয়। তবে শেষ রক্ষা হয়নি।
২০০৭ সালে পেশাদার লিগ চালুর পর বারবার চেষ্টা করেও শিরোপার মুখ দেখেনি মোহামেডান। গত মৌসুমেও কাছাকাছি গিয়েও দ্বিতীয় হয়ে শেষ করতে হয়েছিল। এবার আর ভুল করেনি তারা—ঘুরে দাঁড়িয়ে টানা লড়াইয়ের পুরস্কার হিসেবে প্রিমিয়ার লিগ ট্রফি উঠল মোহামেডানের ঘরে।
আপনার মতামত লিখুন