ম্যাথু ফোর্ডের রেকর্ডবৃদ্ধি: ওয়ানডেতে দ্রুততম অর্ধশতকের নতুন দখলদার

টি-টোয়েন্টির ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তায় ব্যাটিংয়ে আগ্রাসী স্টাইল এখন অন্য ফরম্যাটেও ছড়িয়ে পড়েছে। ২০১৫ সালে এবি ডি ভিলিয়ার্স ওয়ানডেতে সবচেয়ে দ্রুততম হাফসেঞ্চুরির বিশ্বরেকর্ড করেছিলেন, যা দশ বছর অক্ষুণ্ন ছিল। তবে এবার ক্যারিবীয় পেসার ম্যাথু ফোর্ড সেই রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন। আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচে মাত্র ১৬ বলে অর্ধশতক পূরণ করা এই উইন্ডিজ ব্যাটসম্যান শেষ পর্যন্ত ১৯ বলে ৫৮ রান করেন, যার মধ্যে ছিল ২ চার ও ৮ ছক্কা।

ডি ভিলিয়ার্সের রেকর্ডটি ভাঙতে পারেননি ফোর্ড, কিন্তু তার ২৩ বছর বয়সী এই ক্যারিবীয় ক্রিকেটারের পারফরম্যান্স তাৎপর্যপূর্ণ। উল্লেখযোগ্য হলো, ডি ভিলিয়ার্স তাঁর রেকর্ডটি করেছিলেন একই দলের বিপক্ষে – উইন্ডিজের বিপক্ষে, যেখানে ৩১ বলে বিশ্বরেকর্ড দ্রুততম সেঞ্চুরি করে নতুন মাত্রা সৃষ্টি করেছিলেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে খেলানো ঐ ম্যাচে ডি ভিলিয়ার্স ১৪৯ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেছিলেন।

এছাড়া, ফোর্ড গতকালের ম্যাচে আরেকটি রেকর্ড গড়েছেন; তার মোট ৫৮ রানের মধ্যে ৫৬ রান এসেছে বাউন্ডারি থেকে, অর্থাৎ ৯৬.৯৫ শতাংশ রান এসেছে বাউন্ডারিতে, যা ছেলেদের ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ। এই রেকর্ডটি পূর্বে তারই ক্যারিবীয় সহকর্মী আন্দ্রে ফ্লেচারের ছিল, যিনি ২০০৯ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫২ রানের মধ্যে ৫০ রান করেছিলেন শুধুমাত্র বাউন্ডারি হাঁকিয়ে।

বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজে ডাক পাওয়ার পর ফোর্ড আইরিশদের বিরুদ্ধে ২৫ বলে ৬৮ রানের সপ্তম উইকেটে জাস্টিন গ্রিভসের সঙ্গে জুটি গড়েছেন, যা ক্যারিবীয়দের বড় স্কোর গঠনে সাহায্য করেছে। তবে ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয় এবং স্বাগতিক আয়ারল্যান্ড ব্যাট করতে পারেনি।

বর্তমানে ওয়ানডেতে দ্রুততম ফিফটির যৌথ রেকর্ডের মালিক ফোর্ড ও ডি ভিলিয়ার্স। তাঁদের পরে সমান ১৭ বলে ফিফটি করা সনৎ জয়সুরিয়া, কুশল পেরেরা, মার্টিন গাপটিল ও লিয়াম লিভিংস্টোনের নাম রয়েছে। উইন্ডিজের মধ্যে দ্রুততম ফিফটির দিক থেকে ফোর্ডের পরে অবস্থান করছেন ক্রিস গেইল (১৯ বল), ড্যারেন সামি (২০), ব্রায়ান লারা (২৩) ও কাইরন পোলার্ড (২৩ বল)।