নারী আসন বৃদ্ধিসহ সংসদীয় সংস্কারের বিষয়ে বিএনপির অবস্থান ও দ্বিমত

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫, ৬:৩৫ অপরাহ্ণ
নারী আসন বৃদ্ধিসহ সংসদীয় সংস্কারের বিষয়ে বিএনপির অবস্থান ও দ্বিমত

জাতীয় সংসদে নারী আসনের সংখ্যা ৫০ থেকে ১০০ পর্যন্ত বৃদ্ধি করার প্রস্তাবে বিএনপি একমত হলেও নির্বাচনী পদ্ধতি নিয়ে এখনও কোনো ঐক্যমত্যে পৌঁছায়নি বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। মঙ্গলবার (৩ জুন) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, পূর্বে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন ছিল ৩০, পরে তা ৪৫ এবং সর্বশেষ ৫০ পর্যন্ত উন্নীত করা হয়েছে। এবার আরও ৫০ আসন বাড়ানোর প্রস্তাব এসেছে, যা প্রায় সব দলের সমর্থন পেয়েছে। তবে এই আসনগুলো নির্বাচন পদ্ধতিতে কিভাবে বন্টন করা হবে, সে বিষয়ে এখনো ঐক্য হয়নি এবং এ নিয়ে আরও আলোচনা হবে।

সালাহউদ্দিন বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে সরাসরি নির্বাচন পদ্ধতির প্রস্তাব দেয়া হলেও দেশের রাজনৈতিক ও সংসদীয় প্রেক্ষাপটে তা এখনো কার্যকর মনে হয় না। তাই প্রথমে কিছু পার্লামেন্টের মধ্য দিয়ে প্র্যাকটিস হওয়ার পর সরাসরি নির্বাচনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নারীদের সংরক্ষিত আসন থাকা অত্যন্ত জরুরি উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশেষ করে শারীরিক অক্ষম নারীদের জন্যও সংবিধানে বিশেষ বিধান থাকা প্রয়োজন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, সংবিধান, আইন এবং সমাজের মাধ্যমে দেশের নারী সমাজ ক্ষমতায়িত হবে।

সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি পদে বিরোধীদলীয় সদস্যদের নিয়োগ নিয়ে বিএনপির ভিন্নমতও তুলে ধরেন তিনি। তিনি বলেন, বিরোধীদলীয় সদস্যদের মধ্য থেকে স্থায়ী কমিটির সভাপতির নির্বাচন নিয়ে প্রায় সব দল একমত হলেও এখনো বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি। বিএনপি কিছু গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি পদে বিরোধীদলীয় সদস্যদের নিয়োগের পক্ষে প্রস্তাব দিয়েছে যাতে পার্লামেন্টে জবাবদিহি ও ভারসাম্য বজায় থাকে। তবে কতগুলো এবং কোন মন্ত্রণালয় তা নির্ধারণ বাকি রয়েছে। এটি জাতীয় সংসদে আলোচনার মাধ্যমে ঠিক হবে, কারণ বিরোধীদলের সদস্যসংখ্যার ওপর নির্ভর করবে নিয়োগের সংখ্যা ও হার।

তিনি আরও বলেন, বিরোধীদলের সদস্য সংখ্যা কম হলে বিরোধীদলীয় সদস্যদের কমিটিতে অংশগ্রহণের হার নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। পাশাপাশি বিরোধীদলের মধ্যে বিভিন্ন দলের ছোট প্রতিনিধিত্ব থাকায় শুধু সর্ববৃহৎ বিরোধীদলকে সব সভাপতি পদ দেওয়াও অনুচিত হবে। এজন্য বিষয়টি পার্লামেন্টে বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে।