বাপা’র ৮ দফা দাবি: কোরবানির পশু নির্ধারিত স্থানে জবাই ও দ্রুত বর্জ্য অপসারণ নিশ্চিত করতে হবে

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক নাগরিক সমাবেশে কোরবানির পশু নির্দিষ্ট স্থানে জবাই করার পাশাপাশি ১২ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য দ্রুত অপসারণের ব্যবস্থা নিতে আট দফা দাবি জানায়। তারা অনির্ধারিত স্থানে পশু হাট বসানো বন্ধ করে নির্ধারিত স্থানগুলোতে পশুর বেচাকেনা নিশ্চিত করতে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানায়।
সমাবেশে বলা হয়, কোরবানির সময় যত্রতত্র পশু জবাই এবং বর্জ্যের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা না থাকার কারণে ঢাকার পরিবেশ খুবই দূষিত ও অব্যবস্থাপনার শিকার হয়। এতে নগরবাসীর চলাচল ব্যাহত হয় এবং জনস্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখে পড়ে। নগর ভবনের আশপাশসহ বিভিন্ন জায়গায় পশুর খাদ্যাভাস, মলমূত্র ও বর্জ্যের গন্ধ এলাকায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি করে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলে।
বাপা উল্লেখ করে, বিগত পাঁচ বছর ধরে ঢাকা সিটি করপোরেশন কোরবানির জন্য নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করলেও তা বাধ্যতামূলক করা হয়নি এবং সাধারণ মানুষও সঠিকভাবে অবহিত নয়। এজন্য অনেকেই বাড়ির আঙ্গিনা বা রাস্তার উপর পশু জবাই করে থাকেন, যা স্বাস্থ্য ও পরিবেশগত সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে সিটি করপোরেশনের আর্থিক, মানবসম্পদ ও যানবাহন সক্ষমতা বৃদ্ধি, পাড়া-মহল্লায় পশু জবাইয়ের জন্য স্থায়ী কেন্দ্র স্থাপন, নদী, খাল, খোলা জায়গা ও সড়কে বর্জ্য ফেলা বন্ধ করা এবং নাগরিকদের অভিযোগ দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য জরুরি যোগাযোগ সেন্টার ও হটলাইন চালুর ব্যবস্থা নেওয়া।
বাপার নেতারা সতর্ক করেন, এসব সমস্যা রোধ করতে হলে নির্ধারিত স্থানে পশু হাট ও কোরবানির ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করতে হবে এবং ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। তাদের ভাষ্যে, শুধুমাত্র সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ঢাকার জনজীবন স্বাভাবিক রাখা সম্ভব হবে।
সমাবেশে উপস্থিত বাপার বিভিন্ন কমিটির নেতৃবৃন্দ এ দাবি জানিয়ে সরকারের কার্যকর ভূমিকা আশা করেন।
আপনার মতামত লিখুন