বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন ঘোষণা করেছেন, সরকার শপথ না পড়ালে নিজেই মেয়রের শপথ নিয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।

তিনি আরও বলেছেন, ‘বহিরাগত’ কোনো প্রশাসক বা উপদেষ্টাকে নগর ভবনে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
মঙ্গলবার বিকেলে নগর ভবনের মঞ্চ থেকে সমর্থকদের উদ্দেশে ইশরাক বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার এবং তার উপদেষ্টারা আমাদের নির্বাচনের রায় মেনে নিতে অস্বীকার করে শপথ পড়ানো বন্ধ করেছে। এতে সংবিধান ও নির্বাচন কমিশনের অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে।
তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, ‘তারা যদি সংবিধান, নির্বাচন কমিশন ও আইন মানে না, তাহলে জনগণ কি তাদের মানবে? আমরা যদি তাদের মানা বন্ধ করি, তখন দায় কার?’
ইশরাক বলেন, সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের পরেও শপথ পড়ানো নিয়ে বাধা সৃষ্টি করা নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করা কঠিন করছে।
নির্বাচনের পর থেকে তারা বার বার সরকারের কাছে শপথ পড়ানোর জন্য আবেদন জানিয়েছে, কিন্তু সরকার তাতে সাড়া দেয়নি। এর ফলে ভোটাররা রাজপথে নেমে আন্দোলন করেছে এবং তারা নিজে শহীদ মিনারে গিয়ে শপথ নেয়ার কথা ভাবছেন।
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘নগর ভবনে আমাদের ছাড়া কোনো বহিরাগত উপদেষ্টা বা প্রশাসক প্রবেশ করতে পারবে না। নগর ভবন পরিচালনা ঢাকার ভোটাররা করবে।’
গত ২৭ মার্চ নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করেছে। পরে নির্বাচন কমিশন ২৭ এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করেছে। তবে শপথ না পড়ানোর জন্য একটি রিট দায়ের হলে তা নিয়ে ঝামেলা সৃষ্টি হয়।
এর পর থেকে ইশরাকের সমর্থকরা নগর ভবনে অবস্থান করে কার্যত অবরোধ সৃষ্টি করেছেন।
হাইকোর্ট ওই রিট খারিজ করেছে এবং আপিল বিভাগও তা বহাল রেখেছে।
সর্বোচ্চ আদালত বলেছেন, নির্বাচন কমিশন তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেনি।
আপনার মতামত লিখুন