নেত্রকোণার মোহনগঞ্জে ইদু মিয়া হত্যা রহস্য উদঘাটন

নেত্রকোণার মোহনগঞ্জে ইদু মিয়া (২০) নামে এক যুবককে গলাকেটে হত্যা করার ঘটনা সুলভ সমাধান করেছে পুলিশ। অনলাইনে জুয়া খেলার বিরোধের জেরেই তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে আদালতে আসামি স্বীকার করেছেন।

মঙ্গলবার দুপুরে মোহনগঞ্জ থানার আটক আসামী মো. রফিক ওরফে হাবু ওরফে আবু (২৮) ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।

নেত্রকোণার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সাহেব আলী পাঠান একই দিন বিকেলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

পুলিশ জানায়, গত সোমবার মোহনগঞ্জ উপজেলার ছয়াশী (হাটনাইয়া) এলাকায় যৌথ অভিযানে মোহনগঞ্জ থানা ও জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের টিম রফিককে আটক করে। সে ওই এলাকার মৃত আব্দুল হেকিমের ছেলে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২৬ মে রাত সাড়ে ৯টার দিকে আদর্শনগর শিবির এলাকার বাসিন্দা রায়হান আহমেদ ইদু মিয়া নিখোঁজ হন। পরদিন সকালে স্থানীয়রা পরিত্যক্ত ব্র্যাক শিশু স্কুলের ভিতর থেকে তার গলা কাটা ও ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে। নিহতের বড় ভাই মো. সুমন মিয়া মোহনগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।

থানা ও ডিবি পুলিশের যৌথ অভিযানে সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণের মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন হয়। পরে গত সোমবার রফিককে গ্রেফতার করা হয় এবং সে হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।

আসামির স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, স্থানীয় মোশারফ হোসেনের সঙ্গে ইদুর অনলাইন জুয়া খেলার আর্থিক বিরোধ ছিল। এর জের ধরে ২৬ মে রাতে মোশারফ, রফিক ও অন্যরা ইদুকে ডেকে নিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্রটি ঘটনাস্থলের নিকটস্থ একটি বিলে ফেলে পালিয়ে যায়।

মোহনগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আমিনুল ইসলাম জানান, “রহস্য উদঘাটনে কাজ চলছে। সিসিটিভি ফুটেজ আমাদের মূল সূত্র দিয়েছে। হত্যায় জড়িত সবাইকে শনাক্ত করা হয়েছে। একজন গ্রেফতার করা হয়েছে, বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। দ্রুত তাদেরও গ্রেফতার করা হবে, ইনশাআল্লাহ।”