পবিত্র ঈদুল আজহার আগে সন্দ্বীপে কোরবানির পশুর হাট জমে উঠেছে

পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপনের মাত্র তিন দিন বাকি থাকায় চট্টগ্রামের দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপের কোরবানির পশুর হাটগুলোতে চমকপ্রদ উন্মাদনা দেখা যাচ্ছে। শুরুর দিকে কিছুটা ক্রেতাশূন্যতা থাকলেও এখন প্রতিটি হাটে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে এবং ঈদ উৎসবের আবহ তৈরি হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার অন্যতম বড় পশুর হাট পণ্ডিতের হাটে গিয়ে দেখা যায়, হাটজুড়ে জায়গা নেই, চারপাশে গরুর ডাক, দরদাম ও ক্রেতাদের হাসিখুশি মুখে উৎসবের পরিবেশ বিরাজ করছে। কেউ একা এসেছেন, কেউ পরিবার কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে এসেছেন।
এইবারের হাটগুলোতে দেশি গরুর সরবরাহ লক্ষ্যণীয়। যদিও বিদেশি গরুর কোনো চেহারা দেখা যায়নি, তবু ক্রেতাদের আগ্রহ কমেনি। কেউ পছন্দের পশু কিনে বাড়ি ফিরছেন, কেউ অপেক্ষা করছেন শেষ মুহূর্তের দাম ওঠানামার জন্য।
সন্দ্বীপ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আলী আজম জানান, “এ বছর সন্দ্বীপে গরু, ছাগল, ভেড়া ও মহিষ মিলিয়ে মোট ৮৫ হাজার কোরবানিযোগ্য পশু রয়েছে, যেখানে চাহিদা প্রায় ৩৩ হাজার। অর্থাৎ চাহিদার তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি পশু রয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “দেশীয় খামারিরাই এই পশুগুলো সরবরাহ করছেন, যা স্থানীয় অর্থনীতির জন্য খুবই ইতিবাচক।”
পশুর হাটগুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। সন্দ্বীপ থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম শফিকুল আলম চৌধুরী জানান, “প্রতিটি হাটে পুলিশের টহল টিম রয়েছে যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা না ঘটে।”
সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিগ্যান চাকমা বলেন, “এ বছর সন্দ্বীপে ১৫টি পশুর হাট বসেছে। প্রতিটি হাটে প্রশাসনের মোবাইল টিম নিয়মিত টহল দিচ্ছে। পশু আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রেও অতিরিক্ত নজরদারি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
সব মিলিয়ে ঈদুল আজহার আগে সন্দ্বীপের কোরবানির পশুর হাটগুলোতে প্রাণচাঞ্চল্য দেখা যাচ্ছে। পর্যাপ্ত সরবরাহ, স্বাভাবিক দাম এবং প্রশাসনিক নিরাপত্তার কারণে বিক্রেতা ও ক্রেতা উভয়েই সন্তুষ্ট। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এ বছর সন্দ্বীপের হাটগুলো সফল ও সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালিত হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন