মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা সংশোধন: বিভ্রান্তির অবসান

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৫ জুন, ২০২৫, ৪:৪০ অপরাহ্ণ
মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা সংশোধন: বিভ্রান্তির অবসান

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা পুনর্বিবেচনা করে সরকার নতুন অধ্যাদেশ জারি করেছে। গত ৩ জুন রাতে প্রকাশিত এই অধ্যাদেশের কারণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ কয়েকটি গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর দাবির সূত্রপাত হয়, যেখানে বলা হয় শেখ মুজিবুর রহমান, তাজউদ্দীন আহমদসহ চার শতাধিক নেতার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল করা হয়েছে। তবে আসল পরিস্থিতি ভিন্ন। সংশোধিত অধ্যাদেশে বীর মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞায় প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার (মুজিবনগর সরকার) এবং উক্ত সরকারের স্বীকৃত অন্যান্য বাহিনীকে বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর অর্থ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতাসহ মুজিবনগর সরকারের অন্য সদস্যরাও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গণ্য হবেন। নতুন অধ্যাদেশে বীর মুক্তিযোদ্ধার পাশাপাশি সহযোগী মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞাও নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশের অভ্যন্তর বা প্রবাসে অবস্থান করে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা, বিশ্বজনমত গঠন, কূটনৈতিক সহায়তা এবং সংগঠকের ভূমিকা পালন করেছেন, তারাও সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃত হবেন। মুক্তিযুদ্ধকালে আহত বা ক্ষতিগ্রস্ত মুক্তিযোদ্ধা, চিকিৎসক, নার্সসহ ফিল্ড হাসপাতালের কর্মীরা, এবং যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারও যথাযথ মর্যাদা পাবে। নতুন সংজ্ঞা মূলত ১৯৭২ সালের সংজ্ঞাকে ফিরে আনার প্রয়াস, যেখানে মুক্তিযুদ্ধকে পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে পরিচালিত যুদ্ধে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম জানান, এই সংশোধন দ্বারা মুক্তিযোদ্ধা ও সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা দুই পক্ষের সম্মান ও সুযোগ-সুবিধা অপরিবর্তিত থাকবে। ফলে নতুন অধ্যাদেশ মুক্তিযোদ্ধাদের স্বীকৃতি ও মর্যাদা পুনঃপ্রতিষ্ঠায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।