ঈদে ঘরমুখো মানুষের ঢল, চন্দ্রায় তীব্র যানজট ও পরিবহন সংকট, দুর্ভোগে শ্রমিকরা

পবিত্র ঈদুল আজহা আগামী শনিবার (৭ জুন) উদযাপিত হতে যাচ্ছে। প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে গাজীপুরের শিল্পাঞ্চল থেকে বাড়ির পথে রওনা হয়েছেন লাখো মানুষ। তবে পর্যাপ্ত পরিবহন না থাকায় গাজীপুরের চন্দ্রা এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট ও ভয়াবহ ভিড়—ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা, বিশেষ করে পোশাক খাতের শ্রমিকরা।
গাজীপুর জেলায় নিবন্ধিত রয়েছে ২ হাজার ১৭৬টি শিল্প-কারখানা, যার মধ্যে ১ হাজার ১৫৪টি পোশাক কারখানা। এসব কারখানায় কাজ করেন কয়েক লাখ শ্রমিক। অধিকাংশ কারখানায় বুধবার এবং বাকি কারখানাগুলো বৃহস্পতিবার ছুটি ঘোষণা করার পর থেকেই চন্দ্রা এলাকায় নেমে আসে ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের ঢল।
বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে চন্দ্রায় দেখা যায় বিশাল যাত্রী ভিড়, তবে যানজট ও পরিবহন সংকটের কারণে ব্যাহত হচ্ছে তাদের যাত্রা। ভোর থেকেই গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায় বহু মানুষকে। পূর্বরাতের যানজটে আটকে থাকা বহু বাস এখনো গন্তব্য থেকে ফিরে আসতে না পারায় সংকট আরও তীব্র হয়েছে।
যাত্রী খোরশেদ আলম জানান, “দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও বাস পাইনি। গতরাতের যানজটের প্রভাব এখনো কাটেনি।”
অন্য যাত্রী কায়কোবাদ আলম বলেন, “আজ কারখানায় হাজিরা দিয়ে চলে এসেছি, বের হয়েই বৃষ্টিতে আটকে পড়েছিলাম। এখন বাস না পেয়ে চন্দ্রায় দাঁড়িয়ে আছি, আগে থেকেই সব বুকিং।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ সদস্য জানান, “রাতে চন্দ্রা ও টাঙ্গাইল এলাকায় প্রচণ্ড যানজট ছিল। তাই বাসগুলো সঠিক সময়ে ফিরে আসতে পারেনি।”
নাওজোড় হাইওয়ে থানার ওসি শওকাতুল আলম বলেন, “ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন রাখতে হাইওয়ে পুলিশ, র্যাবসহ একাধিক বাহিনী যৌথভাবে কাজ করছে। যাত্রী নিরাপত্তায় বিশেষ টিম মোতায়েন রয়েছে।”
বরাবরের মতো এবছরও ঈদযাত্রায় চন্দ্রায় দেখা দিয়েছে গাড়ির সংকট ও দীর্ঘ যানজট। বিশেষ করে শ্রমজীবী মানুষের ভোগান্তি বেশি। ভুক্তভোগীরা ঈদের সময় যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে আরও কার্যকর সমন্বয়ের দাবি জানিয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন