ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসবমুখর পরিবেশে সারাদেশে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ৫:৩০ অপরাহ্ণ
ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসবমুখর পরিবেশে সারাদেশে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা

সারাদেশে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আনন্দঘন পরিবেশে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদের নামাজ আদায় শেষে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের আশায় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে পশু কোরবানি।

শনিবার (৭ জুন) সকালে ঈদের প্রথম জামাত শেষে ঢাকার মোহাম্মদপুর, আদাবর, ফার্মগেট, ইস্কাটনসহ বিভিন্ন এলাকায় গরু, ছাগল ও মহিষ কোরবানি করতে দেখা যায়। বাসার সামনের জায়গা, গ্যারেজ কিংবা খোলা স্থানে কোরবানির পশু জবাই ও মাংস কাটার কাজ চলে। সেইসঙ্গে মাংস বণ্টন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজেও ব্যস্ত সময় পার করেন অনেকে।

এ আয়োজনে শিশুদের মাঝেও ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ। কাঠালবাগানের বাসিন্দা মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, “আল্লাহকে খুশি করতে কোরবানি দিচ্ছি। ইতোমধ্যে ছাগল জবাই হয়ে গেছে। ধর্মীয় নিয়ম অনুযায়ী মাংস বণ্টন করা হবে।”

তেজগাঁওয়ের বাসিন্দা সুলতান ফাহিম জানান, “দুই দিন আগে গরু কিনেছি। বাড়ির শিশুরাও অনেক যত্ন নিয়েছে। আজ ঈদের নামাজ শেষে কোরবানি দিলাম। মূল লক্ষ্য আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন।”

এদিকে কোরবানির পর বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় তৎপর হয়ে উঠেছে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। দুই সিটিতে মোট ২০ হাজারের বেশি পরিচ্ছন্নকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে।

ঢাকা সিটি করপোরেশনের সূত্র অনুযায়ী, এবার রাজধানীতে প্রায় ৭ লাখ পশু কোরবানি হতে পারে। ফলে প্রায় ৫০ হাজার টন বর্জ্য উৎপন্ন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় ঈদের দিন বিকেল ৩টা থেকেই শুরু হয়েছে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম।

পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে দুই সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পরিবহন এবং যান্ত্রিক শাখার সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

সিটি করপোরেশন জানায়, দ্রুত ও কার্যকর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে নগরীর বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ী বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র (টিএসসি) স্থাপন করা হয়েছে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই অপসারণ সম্পন্ন করা হবে।