অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্য: ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের গুরুত্ব

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ৮ জুন, ২০২৫, ৫:৩১ অপরাহ্ণ
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্য: ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের গুরুত্ব

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা (এসএমই) বিশ্ব অর্থনীতির অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি। বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের একটি বড় অংশ এসএমই খাত থেকে আসে এবং নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও এই খাতের অবদান অপরিসীম।

‘বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস-২০২৫’ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে ড. ইউনূস বলেন, এসএমই খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা, পরিবর্তিত ক্রেতা চাহিদা ও আর্থিক সীমাবদ্ধতার মতো চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সম্মিলিত বৈশ্বিক উদ্যোগের প্রয়োজন রয়েছে।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশে আন্তরিকভাবে কাজ করছে। এ খাতের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন, টেকসই শিল্পায়ন, ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি) ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে ইতিবাচক ভূমিকা অব্যাহত রাখতে হবে।

ড. ইউনূস বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস’ উদযাপন হওয়ায় তিনি আনন্দিত। এবারের দিবসের প্রতিপাদ্য ‘অ্যাক্রেডিটেশন: এমপাওয়ারিং স্মল অ্যান্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ (এসএমই)’ বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে খুবই সময়োপযোগী।

তিনি ব্যাখ্যা করেন, অ্যাক্রেডিটেশন ব্যবস্থা জাতীয় গুণগতমান অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে পণ্য ও সেবার গুণগতমান নিশ্চিত করে, দক্ষ কারিগরি জনবল তৈরি করে, বাণিজ্যে কারিগরি বাধা দূর করে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের সুযোগ সৃষ্টি করে, যা এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

বিএবি প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিভিন্ন ল্যাবরেটরি, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সনদ প্রদানকারী সংস্থা ও পরিদর্শন সংস্থাসহ মোট ১৫৫টি সরকারি, বেসরকারি ও বহুজাতিক সংস্থাকে আন্তর্জাতিক মান অনুসারে অ্যাক্রেডিটেশন সনদ প্রদান করেছে বলে তিনি জানান।

অবশেষে দিবস উপলক্ষে সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।