ইলন মাস্কের সঙ্গে সম্পর্কের অবসান ঘোষণা ট্রাম্পের, রাজনীতিতে নতুন বিতর্কের ইঙ্গিত

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ৮ জুন, ২০২৫, ৫:৪৪ অপরাহ্ণ
ইলন মাস্কের সঙ্গে সম্পর্কের অবসান ঘোষণা ট্রাম্পের, রাজনীতিতে নতুন বিতর্কের ইঙ্গিত

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়েছেন যে প্রযুক্তি জগতের প্রভাবশালী ব্যক্তি ইলন মাস্কের সঙ্গে তার সম্পর্ক শেষ হয়ে গেছে। এনবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, “আমি এটাই ধরে নিচ্ছি, হ্যাঁ।” সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, “না।”

ট্রাম্প ও মাস্কের সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয় প্রেসিডেন্টের কর ও ব্যয়সংক্রান্ত একটি বিল নিয়ে মাস্কের প্রকাশ্য সমালোচনার পর থেকে। রিপাবলিকানদের পৃষ্ঠপোষকতায় বিলটি হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভে পাস হয়ে বর্তমানে সিনেটে বিবেচনাধীন রয়েছে।

উল্লেখ্য, ইলন মাস্ক একসময় ট্রাম্পের নির্বাচনি প্রচারে প্রায় ২৫০ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছিলেন এবং হোয়াইট হাউসে অস্থায়ীভাবে প্রশাসনিক দায়িত্বও পালন করেন। তবে বিতর্কিত বিলের বিরোধিতা করে মাত্র ১২৯ দিন পর তিনি দায়িত্ব ছেড়ে দেন এবং বলেন, এটি বাজেটে বিপর্যয় আনবে।

সম্প্রতি ট্রাম্প প্রকাশ্যে মাস্কের আচরণে ‘হতাশ’ হয়েছেন বলে মন্তব্য করেন। এর জবাবে মাস্ক সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ দাবি করেন, “আমি না থাকলে ট্রাম্প নির্বাচনে জিততেন না,” এবং ট্রাম্পের নাম প্রয়াত যৌন অপরাধী জেফ্রি এপস্টাইনের গোপন ফাইলগুলোতে থাকার ইঙ্গিত দেন—যদিও পরে তিনি সেই পোস্টগুলো মুছে ফেলেন এবং এপস্টাইনের আইনজীবীরা বিষয়টি অস্বীকার করেন।

এ উত্তরে ট্রাম্প তাঁর সামাজিক প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে মাস্ককে ‘পাগল’ বলে আখ্যা দেন এবং তাঁর সঙ্গে ফেডারেল চুক্তি বাতিলের হুমকি দেন। তিনি আরও বলেন, মাস্ক প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের প্রতি অসম্মান দেখিয়েছেন।

মাস্ক বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তি হলেও, সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে তিনি ট্রাম্পবিরোধী কয়েকজন প্রার্থীর প্রতি সমর্থন দিতে পারেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন। এ নিয়ে ট্রাম্প হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, মাস্ক যদি ডেমোক্র্যাটদের সমর্থন করেন, তবে তার মারাত্মক পরিণতি ভোগ করতে হবে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্প-মাস্ক বিরোধ আসন্ন মার্কিন নির্বাচন ও প্রযুক্তি শিল্পের রাজনৈতিক ভূমিকা ঘিরে নতুন বিতর্কের জন্ম দিতে পারে।