পশুর লাথিতে ও কোরবানি দিতে গিয়ে দুই দিনে ৬৪১ জন আহত; ৪৩৪ ছেড়েছেন হাসপাতাল, ২০৭ ভর্তি

ঈদুল আজহা উপলক্ষে পশুর লাথিতে এবং কোরবানি দিতে গিয়ে দুই দিনের মধ্যে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্র (নিটোর) চিকিৎসা নিয়েছেন মোট ৬৪১ জন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত ১৮১ জনের জরুরি অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। বর্তমানে ২০৭ জন ভর্তি রয়েছেন এবং ৪৩৪ জন চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে discharged হয়েছেন।

নিটোরের তথ্য অনুযায়ী, ঈদের আগের দিন পশু কেনার সময় এবং ঈদের দিন পশু কোরবানি দিতে গিয়ে আহত হয়ে এই সংখ্যক রোগী হাসপাতালে এসেছেন। বিশেষ করে ঈদের দ্বিতীয় দিনও সকাল থেকে একের পর এক কোরবানি দিতে গিয়ে আহত রোগীদের ভর্তি হতে দেখা গেছে।

নিটোরের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক কনসাল্টেন্ট ডা. রিপন ঘোষ জানান, ঈদের দিন সারাদিনে মোট ৩২৫ জন হাত-পা ভাঙা বা কাটা-ছেঁড়া অবস্থায় চিকিৎসা নিয়েছেন, যাদের মধ্যে ১০২ জনকে জরুরি অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে এবং তারা ভর্তি রয়েছেন। অন্যদিকে, ঈদের আগের দিন পশু কেনার সময় ৩১৬ জন আহত হয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন, ৭৯ জনের জরুরি অস্ত্রোপচার হয়েছে এবং ৮৫ জন ভর্তি ছিলেন।

ডা. রিপন জানান, ঈদের দিনে আহতদের মধ্যে অনেকের হাত, পা বা রগ কেটে গেছে। আর ঈদের আগের দিনে আহতদের অধিকাংশের হাত-পা ভাঙার মতো গুরুতর আঘাত ছিল। যারা গুরুতর আহত নন, তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছাড় দেওয়া হয়েছে।

নিটোরে দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্য হাবিব জানান, ঈদের দ্বিতীয় দিনও সকাল থেকে বহু রোগী চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আসছেন। দুপুর পর্যন্ত অন্তত ৭০ থেকে ৮০ জন চিকিৎসা নিয়েছেন এবং দিনের বাকি সময় আরও আসার সম্ভাবনা রয়েছে।