ঈদুল আজহায় কোরবানি দিতে গিয়ে নিটোরে আহত ৯৪২ জন, ভর্তি ৩২৪ জন

পবিত্র ঈদুল আজহায় মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সামর্থ্য অনুযায়ী পশু কোরবানি করে থাকেন। তবে এই পবিত্র দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনেকেই আহত হচ্ছেন। রাজধানীর শের-ই-বাংলা নগরে অবস্থিত জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে (নিটোর) ঈদুল আজহার তিন দিনে এমন ৯৪২ জন আহত রোগী চিকিৎসা নিতে এসেছেন, যাদের মধ্যে ৩২৪ জনকে ভর্তি করতে হয়েছে।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক কনসাল্ট্যান্ট ডা. রিপন ঘোষ জানান, ঈদের দিন (৯ জুন) কোরবানির সময় ও পরে ভাঙা ও কাটা-ছেঁড়া রোগী চিকিৎসা নিতে এসেছেন ৩২৫ জন। তাদের মধ্যে ১০২ জনের জরুরি অপারেশন করতে হয়েছে এবং ১২২ জনকে ভর্তি নিতে হয়েছে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েই চলে গেছেন।

ঈদের দ্বিতীয় দিন রোববার (৮ জুন) হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন ৩০১ জন আহত ব্যক্তি। এর মধ্যে ৮৩ জনের জরুরি অপারেশন করা হয় এবং ১১৭ জনকে ভর্তি নিতে হয়। অন্যদিকে, ঈদের আগের দিন পশু কিনতে গিয়ে লাথিতে আহত হয়ে ৩১৬ জন হাসপাতালে আসেন। তাদের মধ্যে ৭৯ জনের অপারেশন প্রয়োজন হয় এবং ৮৫ জনকে ভর্তি করা হয়।

সব মিলিয়ে ঈদের আগের দিন, ঈদের দিন এবং ঈদের পরদিন—এই তিন দিনে হাসপাতালে আসা মোট আহত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৪২ জনে। তাদের মধ্যে ২৬৪ জনকে জরুরি অপারেশন করতে হয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৩২৪ জন এবং ৬১৮ জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

ডা. রিপন ঘোষ আরও জানান, ঈদের দিন ও এর পরদিন যারা হাসপাতালে এসেছেন তাদের অধিকাংশই কোরবানির পশু জবাই করতে গিয়ে হাত, পা বা রগ কাটার মতো দুর্ঘটনায় পড়েছেন। অন্যদিকে, ঈদের আগের দিন যারা এসেছেন তারা পশু কিনতে গিয়ে লাথিতে হাত-পা ভেঙেছেন। যাদের অবস্থা গুরুতর নয়, তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত সূত্র জানায়, ঈদের তৃতীয় দিনও সকালে কিছু সংখ্যক একই ধরনের রোগী হাসপাতালে আসেন, তবে আগের দিনের তুলনায় সংখ্যা কিছুটা কম।