নুরুল হক নুর: ছাত্র অধিকার পরিষদ না থাকলে ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান হত না

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, অনলাইনে তাকে ‘বিকাশ নুর’ বলে গালি দেওয়া হয়, তবে তার দল থেকে এখনও কেউ এমপি বা মন্ত্রী হয়নি। দলের অর্থসাহায্য মূলত এসেছে তাদের শুভাকাঙ্ক্ষী ও বিরোধীদলের লোকদের কাছ থেকে, যারা তখন কঠোর অবস্থানে ছিল।
বুধবার দুপুরে গলাচিপা অফিসার্স ক্লাবে ছাত্র অধিকার পরিষদের নবনির্বাচিত কমিটির পরিচিতি সভায় নুর এসব কথা বলেন। তিনি জানান, ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন ও ডাকসু নির্বাচন না হলে আজকের নেতারা যেমন আসিফ, নাহিদ, উপদেষ্টা-ছাত্রনেতারা তৈরি হতেন না। তিনি বলেন, যারা গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাদের মধ্যে ছাত্র অধিকার পরিষদের বড় একটি ভূমিকা রয়েছে।
নুর উল্লেখ করেন, তার রাজনৈতিক যাত্রা শুরু হয় ছাত্র অধিকার পরিষদ থেকে এবং এই সংগঠন না থাকলে ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানও সম্ভব হত না। তিনি আরও বলেন, রাজনীতিতে আপস করেননি, নৈতিকতা ও বিবেক বিক্রি করেননি, বরং দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতির কথায়, ছাত্র অধিকার পরিষদের মাধ্যমে ছাত্রদের জন্য কাজ করতে তিনি সংগ্রাম-আন্দোলনের পাশাপাশি অন্য কৌশল অবলম্বন করেছেন। গণভবনে গিয়েছিলেন, যা নিয়ে ট্রোল হয়েছে, কিন্তু তার ভূমিকা তারুণ্যের মধ্যে অসাধারণ। তিনি বলেন, “আমার জন্ম না হলে, ছাত্র অধিকার না থাকলে, ডাকসু নির্বাচন না হলে ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান এই বাংলাদেশে হত না।”
সভায় ছাত্র অধিকার পরিষদের গলাচিপা উপজেলা সভাপতি আরিফ বিল্লার সভাপতিত্ব করেন। জেলা, উপজেলা ও কেন্দ্রীয় ছাত্র, যুব, শ্রমিক এবং গণঅধিকার পরিষদের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন