ইরানে ইসরায়েলের হামলায় বাংলাদেশের তীব্র নিন্দা, শান্তির জন্য আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের আহ্বান

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ১৪ জুন, ২০২৫, ১০:৩৫ পূর্বাহ্ণ
ইরানে ইসরায়েলের হামলায় বাংলাদেশের তীব্র নিন্দা, শান্তির জন্য আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের আহ্বান

ইরানে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলার ঘটনায় কড়া ভাষায় নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ। দেশটির রাজধানী তেহরানসহ বিভিন্ন শহরে চালানো এই হামলাকে “জাতিসংঘ সনদ ও আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন” এবং “ইরানের সার্বভৌমত্বের ওপর সরাসরি আঘাত” বলে উল্লেখ করে শুক্রবার এক বিবৃতিতে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, “এ ধরনের নির্লজ্জ সংঘাতমূলক কর্মকাণ্ড জাতিসংঘ সনদ ও আন্তর্জাতিক আইনের মূলনীতি এবং ইরানের সার্বভৌমত্বের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এটি আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তি এবং নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি, যার রয়েছে সুদূরপ্রসারী পরিণতি।” একই সঙ্গে বাংলাদেশ শান্তি প্রতিষ্ঠায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং জাতিসংঘকে সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোররাতে চালানো হামলায় ইরানের একাধিক সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় বিস্ফোরণ ঘটে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিগুলোতে ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন ভবন, ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ি ও সামরিক অবকাঠামোর চিত্র দেখা গেছে। এই হামলায় ইরানের বেশ কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ও পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে জানানো হয়।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ হামলা পূর্ববর্তী ‘সতর্কবার্তা’ নয়, বরং সরাসরি যুদ্ধের প্রেক্ষাপট তৈরি করছে। এর জবাবে ইরান ইতোমধ্যেই ইসরায়েল লক্ষ্য করে শতাধিক ড্রোন ছুড়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী। টেলিগ্রামে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওচিত্রে বেশ কিছু ড্রোন ভূপাতিত হওয়ার দৃশ্যও দেখা গেছে। তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, প্রতিক্রিয়া এখানেই শেষ নয়—ইরান আরও বড় প্রতিশোধ নিতে পারে, যার ফলে পুরো অঞ্চলই এক ভয়াবহ যুদ্ধের মুখোমুখি হতে পারে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

এই উত্তপ্ত প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ তার অবস্থান পরিষ্কার করে বলেছে, “বাংলাদেশ সব পক্ষের প্রতি সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানায় এবং ইতোমধ্যে অস্থির একটি অঞ্চলে আরও উত্তেজনা সৃষ্টি করে এমন কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানায়।” বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “বাংলাদেশ কূটনীতি ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধকে দীর্ঘস্থায়ী শান্তির একমাত্র কার্যকর উপায় বলে মনে করে এবং মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতা রক্ষায় সম্মিলিত আন্তর্জাতিক উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করছে।”