বিএনপির আশীর্বাদ অভিশাপে রূপ নিয়েছে : গলাচিপায় অবরুদ্ধের ঘটনায় ক্ষুব্ধ নুর

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ১৪ জুন, ২০২৫, ১০:২৪ পূর্বাহ্ণ
বিএনপির আশীর্বাদ অভিশাপে রূপ নিয়েছে : গলাচিপায় অবরুদ্ধের ঘটনায় ক্ষুব্ধ নুর

বিএনপির দেওয়া সহযোগিতার চিঠি এখন অভিশাপে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। শুক্রবার (১৩ জুন) বিকেলে পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা গেস্ট হাউজের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

গলাচিপায় অবরুদ্ধ করার ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে নুর বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাসান মামুনকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, “বিএনপি আমাদের আশীর্বাদ না দিয়ে অভিশাপ দিয়েছে। হাসান মামুনের সঙ্গে বিরোধ তৈরির পথ তৈরি করেছে এই চিঠি। বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো সহযোগিতা তো পাইনি, বরং হামলা-মামলা হয়েছে। এ অভিশাপের দায় বিএনপিকেই নিতে হবে।”

তিনি সতর্ক করেন, “হাসান মামুনের মতো নেতাদের বিরুদ্ধে এখনই ব্যবস্থা না নিলে সাধারণ মানুষ বিএনপির ওপর থেকে আস্থা হারাবে। ভোট তো এখনো হয়নি, অথচ গত ১০ মাসে মানুষ বিরক্ত, তিক্ত। এমন হলে পরিবর্তনের স্বপ্ন ভেঙে যাবে।”

ভিপি নুর জানান, গণঅধিকার পরিষদ এখনো কারও সঙ্গে জোট গঠন করেনি। “আমরা চাই গণঅভ্যুত্থানের পর যেন কোনো ফ্যাসিবাদী শক্তি প্রতিষ্ঠিত না হয়। কিন্তু আজ হাসান মামুনের যেসব কর্মকাণ্ড দেখা যাচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে বিএনপির অভ্যন্তরেই সেই ফ্যাসিবাদের বীজ রয়ে গেছে।”

আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তার ওপর ঘটে যাওয়া হামলা ও হয়রানির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “ডাকসু নির্বাচনে আমার ওপর হামলা হয়েছিল। আমার নামে চুরির মামলা দেওয়া হয়েছিল। আজ গণঅভ্যুত্থানের পর আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর একই ধরনের হামলা-মামলা হচ্ছে। তাহলে পার্থক্য কী রইল?”

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম সিকদার, বরিশাল মহানগর ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি আবু নাঈমসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাতে গলাচিপার চরবিশ্বাস ইউনিয়নে বিএনপি ও গণঅধিকার নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ভাঙচুর হয়। এরপর গভীর রাতে বিএনপি নেতাকর্মীরা বকুলবাড়িয়া এলাকায় ভিপি নুরকে অবরুদ্ধ করে রাখে। রাত সাড়ে ৩টার দিকে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে তাকে উদ্ধার করে গেস্ট হাউজে নিয়ে যায়।