সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ: ১৬ বছরে আওয়ামী লীগের অনেক ভুল ছিল, বর্তমান অবস্থায় ভীষণ আক্ষেপ

সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ গত ১৬ বছর আওয়ামী লীগের শাসনামলে অনেক ভুলের কথা স্বীকার করেছেন। বৃহস্পতিবার এক জাতীয় দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তার শ্যালক ও ঘনিষ্ঠজন ডা. আনম নওশাদ খান জানান, সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রায়ই বলতেন, “আমাদের ভুলের ফলেই আজকের এই পরিণতি। এই অবস্থা আমাদের ভুলেরই শাস্তি।”

২০১২ সালে স্পিকার থাকা অবস্থায় আবদুল হামিদ সতর্ক করেছিলেন যে, সরকার যদি স্বৈরাচারী হয় তাহলে জনগণ বেশিদিন তা মেনে নেবে না। রাষ্ট্রপতি থাকাকালীনও তিনি আওয়ামী লীগের ভুল রাজনীতি নিয়ে সরাসরি মতামত ব্যক্ত করতেন, এমনকি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও বলতেন, যা অনেকের পছন্দ হয়নি।

বর্তমানে সাবেক রাষ্ট্রপতির শারীরিক অবস্থার বিষয়ে জানানো হয়, তিনি অনেক দুর্বল এবং একা চলাফেরা করতে পারেন না। তাকে সহায়তা ছাড়া বাথরুমে যাওয়া সম্ভব হয় না। ফুসফুসে ক্যানসার ধরা পড়েছে যা ‘থ্রি-টু-ফোর’ স্টেজে রয়েছে। ডাক্তাররা তিন মাস পর্যবেক্ষণের পরামর্শ দিয়েছেন। বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফিরে আসেন তিনি, কারণ দেশের মাটিতেই থাকতে চায়।

আব্দুল হামিদ কিশোরগঞ্জের হাওড় এলাকার সন্তান। ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। সাতবার সংসদ সদস্য, ডেপুটি স্পিকার, স্পিকার এবং টানা ১০ বছর রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। বঙ্গভবনে থাকাকালীন নিজেকে ‘বন্দিজীবনে থাকা মানুষ’ হিসেবে অভিহিত করতেন। শারীরিক অসুস্থতার কারণে হাওড়ে যেতে পারছেন না, তবে এলাকার খোঁজখবর নিয়মিত নেন।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়। দলটির প্রধানসহ শীর্ষ নেতারা বিভিন্ন অভিযোগে কারাগারে রয়েছেন এবং দলটির নিবন্ধন স্থগিত রয়েছে।