চাঁদপুরের কচুয়ায় সরকারি শিক্ষককে জাতীয় নাগরিক পার্টির কমিটিতে রাখায় বিতর্ক

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ১৩ সদস্যের কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে কচুয়ার রাগদৈল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. আহসান হাবিবকে যুগ্ম-সমন্বয়কারীর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এই বিষয়টি স্থানীয়ভাবে আলোচিত হচ্ছে, কারণ সরকারি চাকরির বিধিমালায় সরাসরি রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা নিষিদ্ধ।
গত ৪ জুন এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর স্বাক্ষরে কমিটি অনুমোদিত হয়। শিক্ষকের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা সরকারি বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে। ঈদুল আজহার পরও তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সক্রিয় ছিলেন। এর আগে তিনি বিলুপ্ত জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য হিসেবেও কাজ করেছেন এবং এনসিপির কচুয়া উপজেলা কমিটির গঠন ও কার্যক্রমেও নেতৃত্ব দিয়েছেন।
সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯-এর ২৫(১) ধারায় বলা আছে, সরকারি কর্মচারীরা রাজনৈতিক দলের সদস্য হতে বা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়াতে পারবেন না। ২৫(৩) ধারায় নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণও নিষিদ্ধ।
মো. আহসান হাবিব জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতিতে যুক্ত এবং নতুন উদ্যোগের মাধ্যমে এনসিপির ছাত্রদের জন্য কাজ করছেন। তবে সরকারি বিধির কারণে শিগগিরই পদত্যাগ করবেন।
জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব মোহাম্মদ মিরাজ মিয়া বলেন, “কমিটিতে কোনো সরকারি কর্মকর্তা আছেন তা তারা জানত না।” প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান বলেছেন, “বিধিমালা লঙ্ঘনকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না, চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে যেতে চাইলে তা তাদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। তবে চাকরিতে থেকে কেউ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়ালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
চাঁদপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফাতেমা মেহের ইয়াসমিন জানিয়েছেন, সরকারি শিক্ষক কমিটিতে থাকার বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন