২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা এবং প্রতিক্রিয়া

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আগামী ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। শুক্রবার লন্ডনে অনুষ্ঠিত ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের পর প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়।
এ ঘোষণার পর জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-র মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ শুক্রবার রাতে তার ফেসবুক পোস্টে বৈঠককে ইতিবাচকভাবে মূল্যায়ন করেছেন। তিনি বলেন, দেশের স্বার্থে সকল রাজনৈতিক দলের সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক কাম্য। তবে নির্বাচনের তারিখ ও সময়কে অতিরিক্ত গুরুত্ব দিয়ে বিচার ও সংস্কারের গুরুত্ব কমে যাওয়া ‘হতাশাজনক’ বলে উল্লেখ করেছেন।
হাসনাত আরও বলেন, “এ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শুধুমাত্র নির্বাচন আয়োজনের জন্য নয়, এটি একটি অভ্যুত্থানের পর গঠিত, জনগণের বহু ত্যাগ ও আশা-আকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে দাঁড়িয়ে থাকা সরকার। সুতরাং, আগামী জুলাই মাসের মধ্যে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ ও ‘জুলাই সনদ’ প্রণয়ন, মৌলিক সংস্কার, দৃশ্যমান বিচার এবং নির্বাচন-কেন্দ্রিক সংস্কার বাস্তবায়ন নির্বাচনের পূর্বশর্ত।”
তিনি স্পষ্ট করেন, “জুলাই সনদ প্রণয়ন ছাড়াই নির্বাচন তারিখ নির্ধারণ বা ঘোষণা করা সরকারের দায়বদ্ধতা থেকে সরে যাওয়া হবে। সনদ রচনার পরই নির্বাচন বিষয়ে চূড়ান্ত আলোচনা হওয়া উচিত।”
স্থানীয় পর্যায়ে চাঁদাবাজি, দখলবাজি, প্রশাসন প্রভাবিত হওয়া ও পেশিশক্তি ব্যবহারের বৃদ্ধি উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এ অবস্থায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা, যা সুষ্ঠু নির্বাচনের পূর্বশর্ত।”
এ পোস্টে এনসিপির প্রভাবশালী নেতা নাসিরউদ্দিন পাটওয়ারী মন্তব্য করেন, “হাসনাত, ভোটে জেতা এত সহজ নয়, মেম্বার নির্বাচনে জিতে দেখাও।” 이에 হাসনাত জবাবে বলেন, “আপনাদের সরকারকে আগে মেম্বার নির্বাচন দিতে বলেন।”
আপনার মতামত লিখুন