উৎপাদন সহায়তা ও আধুনিক পদ্ধতির প্রয়োগে দেশীয় গবাদিপশু বিশ্বমানের হতে পারে: ফরিদা আখতার

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বুধবার, ১৮ জুন, ২০২৫, ৭:০৩ অপরাহ্ণ
উৎপাদন সহায়তা ও আধুনিক পদ্ধতির প্রয়োগে দেশীয় গবাদিপশু বিশ্বমানের হতে পারে: ফরিদা আখতার

দেশীয় জাতের গবাদিপশুকে বিশ্বমানের পর্যায়ে উন্নীত করা সম্ভব, যদি উৎপাদনে প্রয়োজনীয় সহায়তা এবং আধুনিক পদ্ধতির যথাযথ নিশ্চয়তা দেওয়া যায়—মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার মঙ্গলবার সাভারে এমন মন্তব্য করেন। তিনি সাভারের বিসিএস লাইভস্টক একাডেমিতে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের (এলডিডিপি) আওতায় নবনির্মিত ডরমিটরি ভবন ‘হোয়াইট হল’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি গবাদিপশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পশুখাদ্যের গুণগত মান ও উপাদান নিয়ে আরও গবেষণার ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরেন। তার মতে, নতুন এই ডরমিটরি ভবন ও প্রশিক্ষণ পরিবেশ প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে, যার সুফল সরাসরি খামারিরা পাবেন।

উপদেষ্টা জানান, উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলে এবারের কোরবানিতে অধিকাংশ গবাদিপশু সুস্থ ও সবল ছিল। তবে শিল্পভিত্তিক পশুপালন ব্যবস্থার নেতিবাচক দিকও তুলে ধরেন তিনি, যা জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিকর এবং প্রান্তিক খামার ব্যবস্থার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে বলেও মন্তব্য করেন।

রোগ প্রতিরোধে কার্যকর টিকা উদ্ভাবন ও প্রয়োগের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে তিনি প্রাণিসম্পদ খাতে কৃষির মতো ভর্তুকি দেওয়ার আহ্বান জানান, যাতে খামারিরা সরাসরি উপকৃত হতে পারেন। তিনি জানান, এ বিষয়ে ইতোমধ্যে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা চলছে।

ফরিদা আখতার আরও জানান, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারের কল্যাণে একটি নতুন অধিদপ্তর গঠনের কাজ চলছে, যেখানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়কেও যুক্ত করা হয়েছে। তিনি মনে করেন, প্রাণিসম্পদ খাত তরুণদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতেও ভূমিকা রাখতে পারে।

অনুষ্ঠান শেষে উপদেষ্টা কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামার এবং কৃত্রিম প্রজনন ল্যাবরেটরি পরিদর্শন করেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ড সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেন।

অনুষ্ঠানে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ান সভাপতিত্ব করেন। উপস্থিত ছিলেন বিসিএস লাইভস্টক একাডেমির পরিচালক ডা. এ. কে. এম. হুমায়ুন কবীর, অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. বেগম শামছুননাহার আহম্মদ ও মো. শাহজামান খান, এলডিডিপি প্রকল্পের চীফ টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেটর ড. মো. গোলাম রব্বানীসহ অন্যান্য কর্মকর্তা। স্বাগত বক্তব্য দেন প্রকল্প পরিচালক ডা. মো. জসিম উদ্দিন। প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিসিএস লাইভস্টক ক্যাডারের ৩৩ ও ৪৩তম ব্যাচের কর্মকর্তারা।