জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় এনসিপির আশঙ্কা ও মতামত

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বুধবার, ১৮ জুন, ২০২৫, ৬:৪২ অপরাহ্ণ
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় এনসিপির আশঙ্কা ও মতামত

অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ চূড়ান্তকরণ এবং বহুল আলোচিত ‘জুলাই সনদ’ প্রস্তুতির লক্ষ্যে মঙ্গলবার (১৭ জুন) থেকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু হয়।

এ দিন রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আলোচনা বিরতির সময় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম বিভিন্ন দিক থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, ঐকমত্য কমিশন যে পদ্ধতিতে রাজনৈতিক দলগুলোকে ডেকে আলোচনা করছে, তা স্পষ্ট হওয়া দরকার। তার দল সন্দেহ করে যে, অনেক সময় কোনো একটি বড় দলের সুপারিশ অনুযায়ী অন্য দলগুলোকে ডাকা হচ্ছে কি না। এছাড়া শুধু একটি দলের বক্তব্যের প্রতি সমর্থন থাকলেও বিপরীত মন্তব্য আসলে সেখানে হট্টগোল তৈরির চেষ্টা হয়।

আরিফুল ইসলাম বলেন, ঐকমত্য কমিশনে যারা অংশ নিচ্ছে তারা দেশের সব মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতিনিধিত্ব করতে পারছে না। কারণ, যদি দেশের সব রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আসত, তাহলে গত গণ–অভ্যুত্থানের আগে ৫৪ দল মিলে যে আন্দোলন হয়েছিল তা সফল হত। তিনি গণ–অভ্যুত্থানের অংশীদার তিন শ্রেণি হিসেবে রাজনৈতিক দল, জনতা এবং শিক্ষার্থীদের উল্লেখ করেন; কিন্তু আলোচনায় শুধু রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছে।

জাতীয় সংসদে নারী আসনের বিষয়ে এনসিপির অবস্থান তুলে ধরে আরিফুল ইসলাম বলেন, নারীদের আসন ভোটের মাধ্যমে নির্ধারিত হোক — যদিও পদ্ধতি ও সংখ্যার বিষয়ে আলোচনা চলছে।

সংবিধানের ৭০ নম্বর অনুচ্ছেদ নিয়ে এনসিপির দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে তিনি জানান, তারা ৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের পক্ষে ছিল, তবে ঐকমত্যের স্বার্থে অর্থবিল ও আস্থা ভোট বাদে অন্য বিষয়ে দলের বিপক্ষে ভোট দেওয়া যেতে পারে বলে মত দিয়েছে।

সার্বিকভাবে, তিনি ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার পদ্ধতি ও প্রতিনিধিত্ব নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন এবং দেশের জনগণের প্রকৃত স্বার্থ প্রতিফলিত করতে আহ্বান জানান।