জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় গণতন্ত্র ও সহাবস্থানের অনন্য মডেল হবে: শফিকুল ইসলাম মাসুদ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শুধু দেশের মধ্যেই নয়, বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্র ও সহাবস্থানের একটি অনন্য মডেল হিসেবে পরিচিত হবে।
শুক্রবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (জবিসাস) দুই দশক পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত “গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে গণমাধ্যম ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের ভূমিকা” শীর্ষক আলোচনা সভায় বিশেষ আলোচক হিসেবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, এক সময় এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে হলে ছাত্রলীগের অনুমতি নিতে হতো এবং ভিন্নমতের ছাত্ররা ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশ নিতে গেলে হামলার শিকার হতো। কিন্তু আজ এই একই বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল, শিবির ও অন্যান্য ছাত্র সংগঠন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একসাথে চলমান সহাবস্থানের বাস্তবতা সৃষ্টি হয়েছে। এ পরিবেশ গড়ে তোলায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষকদের তিনি ধন্যবাদ জানান।
গণমাধ্যমের ভূমিকায় তিনি উল্লেখ করেন, দেশে ফ্যাসিবাদের প্রতিষ্ঠায় কিছু সাংবাদিক ভূমিকা রেখেছে, কিন্তু সেই ফ্যাসিবাদের পতনে সাহসী সাংবাদিকরাও বড় ভূমিকা রেখেছেন। প্রধানমন্ত্রীকে ‘কোটা বাতিলে রাজাকারের সন্তানরাও কি সুযোগ পাবে?’ এমন প্রশ্ন করা সাংবাদিককে তিনি বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান, যিনি দেশে নতুন রাজনৈতিক জাগরণের সূত্রপাত করেছেন।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিলাল হোসাইন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনায় বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ নিজামুল হক নাঈম, গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও মানবাধিকার সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন