ইসরায়েল ইরানের সঙ্গে দ্রুত যুদ্ধ শেষ করার পরিকল্পনা করছে: যুক্তরাষ্ট্রের মাধ্যমে ইরানকে বার্তা

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৪ জুন, ২০২৫, ৬:৫০ অপরাহ্ণ
ইসরায়েল ইরানের সঙ্গে দ্রুত যুদ্ধ শেষ করার পরিকল্পনা করছে: যুক্তরাষ্ট্রের মাধ্যমে ইরানকে বার্তা

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হামলার পর ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সঙ্গে দ্রুত যুদ্ধ শেষ করার পরিকল্পনা করছে ইসরায়েল। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র তার আরব মিত্রদের মাধ্যমে ইরানের কাছে ইসরায়েলের বার্তা পৌঁছে দিয়েছে। আরব ও ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

ইসরায়েলি টেলিভিশন চ্যানেল-১২ জানিয়েছে, ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ এর মাধ্যমে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ইরানের পারমাণবিক ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হুমকি নির্মূল করে নিজেদের সামরিক লক্ষ্য দ্রুত অর্জন করতে পারবে বলে প্রত্যাশা করছে ইসরায়েল। আরবের কর্মকর্তারা জানান, যুক্তরাষ্ট্র তাদের আরব মিত্রদের মাধ্যমে ইরানকে বার্তা দিয়েছে যে, ইসরায়েল এই অভিযান শিগগিরই শেষ করতে চায়। তবে ইরান যুক্তরাষ্ট্রের হামলার জবাব না দিয়ে এখনই অভিযান শেষ করতে রাজি নয়।

এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যদি ইরান পারমাণবিক কর্মসূচি বাতিল করতে রাজি হয়, তাহলে ইসরায়েল এখনই বোমা হামলা বন্ধ করার জন্য প্রস্তুত। তিনি বলেন, “অভিযান বন্ধের সিদ্ধান্ত আমাদের নয়, ইরানের ওপর নির্ভর করে। আমরা চাইলে এখনই শেষ করতে পারি, কিন্তু সেক্ষেত্রে একটি চুক্তি প্রয়োজন, যা আমাদের সন্তুষ্ট করবে।”

অভিযান শেষ করার দুটি সম্ভাব্য পথ রয়েছে; ইসরায়েল একতরফাভাবে ঘোষণা করতে পারে যে তারা তাদের লক্ষ্য অর্জন করেছে এবং ইরান ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বন্ধ করেছে, অথবা যুক্তরাষ্ট্র উভয় পক্ষের যুদ্ধবিরতি সম্মত হয়েছে বলে ঘোষণা দিতে পারে। তবে ইসরায়েল দ্বিতীয়টি কম গ্রহণযোগ্য মনে করে।

ইরান ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বন্ধ না করলে ইসরায়েল আরও জোরালো পাল্টা হামলা চালাবে, যার প্রধান টার্গেট হবে ইরানি শাসকগোষ্ঠী। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ওয়াল্লা জানায়, তেহরানের কেন্দ্রস্থলে সরকার-নিয়ন্ত্রিত স্থাপনায় হামলা দিয়ে ইসরায়েল বার্তা দিয়েছে যে, ইরান হামলা বন্ধ না করলে ভবিষ্যতে এর মাত্রা বাড়ানো হবে।

নিরাপত্তা সূত্র বলছে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিই এই লড়াই বন্ধে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইসরায়েলি কর্মকর্তারা আশা করছেন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের যৌথ হামলা ইরানকে আলোচনার টেবিলে ফিরিয়ে আনবে এবং শেষ পর্যন্ত পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধে রাজি হবে।

তবে ইসরায়েল মনে করলে ইরান পুনরায় কর্মসূচি শুরু করতে চায়, তাহলে আবারও বিমান হামলা চালাবে। এর আগে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, ইরানের বিরুদ্ধে তাদের লক্ষ্য অর্জনের দ্বারপ্রান্তে তারা রয়েছে এবং ইরানের পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনাগুলোতে গুরুতর ক্ষতি করেছে। তিনি বলেন, ইসরায়েল দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধে যেতে চায় না, কিন্তু লক্ষ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান বন্ধ করা সম্ভব নয়।