স্বৈরাচার তরুণদের ভবিষ্যৎ ছিনিয়ে নিয়েছিল, গণতন্ত্র রক্ষায় তাদেরই ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৪ জুন, ২০২৫, ৭:২৩ অপরাহ্ণ
স্বৈরাচার তরুণদের ভবিষ্যৎ ছিনিয়ে নিয়েছিল, গণতন্ত্র রক্ষায় তাদেরই ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

বাংলাদেশের বিগত স্বৈরাচারী সরকার তরুণদের ভোটাধিকার হরণ করেছিল, তাদের কণ্ঠরোধ করেছিল এবং ভবিষ্যৎ ছিনিয়ে নিয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত “কমনওয়েলথ চার্টার যুব কর্মশালা বাংলাদেশ” শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আসিফ মাহমুদ বলেন, ইতিহাসের এক অন্ধকার সময়ে বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম ও নির্বাচনী হস্তক্ষেপের কারণে অসংখ্য পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক তরুণ কখনও সুষ্ঠু নির্বাচনের অভিজ্ঞতা পায়নি, এমনকি ভোট দেওয়ার সুযোগও হয়নি। তবে সেই তরুণরাই একদিন সাহসের সঙ্গে সংগ্রামে নেমেছিল, গণতন্ত্র ও ন্যায়ের দাবিতে আন্দোলন করেছিল। তাদের ত্যাগের ফলে আমরা আজ একটি স্বৈরাচারী শাসনের অবসান দেখতে পেয়েছি।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে শুধু ক্ষমতার পরিবর্তন নয়, বরং একটি জাতীয় আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে নানা কমিশন গঠনের মাধ্যমে রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ ও বিশেষজ্ঞদের মতামত সংগ্রহ করে বিভিন্ন সংস্কারমূলক প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। কিছু বাস্তবায়ন হচ্ছে, কিছু নিয়ে কাজ চলছে।

আসিফ মাহমুদ বলেন, আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে গণতন্ত্র কখনও বিপন্ন হবে না এবং প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকার, স্বাধীনতা ও মর্যাদা নিশ্চিত থাকবে। তবে এটি কেবল সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়— এর জন্য প্রয়োজন তরুণ প্রজন্মসহ সব শ্রেণির মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণ।

কমনওয়েলথ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই চার্টার শুধু একটি আদর্শ নয় বরং আইনের শাসন, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের প্রতি আমাদের অঙ্গীকারের প্রতিফলন। এটি ৫৬টি সদস্য রাষ্ট্রের জন্য একটি নৈতিক দিকনির্দেশনা।

অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কমনওয়েলথের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক লুইস ফ্রান্সেসি। তিনি তরুণদের উদ্দেশে বলেন, “আপনি আজ যা করবেন, তা-ই আপনাকে গড়ে তুলবে এবং আগামী ৩০ বছরে আপনি কী হবেন তা নির্ধারণ করবে।” তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ বদলাচ্ছে, বিশ্ব বদলাচ্ছে, আর তরুণরাই এই পরিবর্তনের কারিগর। গণতন্ত্রকে শক্তিশালী, শাসনব্যবস্থাকে জবাবদিহিমূলক এবং সমাজকে আরও মানবিক করে গড়ে তুলতে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।