খামেনির ‘বিজয়’ ঘোষণা: ইরান-ইসরায়েল সংঘর্ষে পরবর্তী মন্তব্য

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন, ২০২৫, ৭:১১ অপরাহ্ণ
খামেনির ‘বিজয়’ ঘোষণা: ইরান-ইসরায়েল সংঘর্ষে পরবর্তী মন্তব্য

সংঘাতের সময় নিরাপদ আশ্রয়ে থেকে যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছেন আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। ১২ দিনের সংঘর্ষ শেষে বৃহস্পতিবার তিনি একটি ভিডিও বার্তায় প্রকাশ্যে এসে আমেরিকা ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘বিজয়ের’ দাবি করেন। ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্বে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয়ার পর এটাই তাঁর প্রথম প্রকাশ্য মন্তব্য।

খামেনি বলেন, “আমরা আমেরিকার মুখে একটি কঠিন চড় মেরেছি। সন্ত্রাসী জায়নবাদী ইসরায়েল প্রায় ধ্বংসের মুখে পৌঁছে গিয়েছিল।” তিনি ইরানের জনগণকে তিনটি শুভেচ্ছা জানান:
১. মিথ্যা জায়নবাদী শাসনের বিরুদ্ধে বিজয়,
২. মার্কিন শাসনের বিরুদ্ধে বিজয়,
৩. ইসলামি প্রজাতন্ত্রের জয়।

তিনি আমেরিকার সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার কারণ হিসেবে ইসরায়েলের নিশ্চিহ্ন হওয়ার সম্ভাবনাকে উল্লেখ করেন, তবে জানিয়ে দেন, আমেরিকা কিছুই অর্জন করতে পারেনি।

খামেনি ইরানি জনগণের ঐক্যের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, প্রায় ৯ কোটি মানুষ এককন্ঠে ও কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সশস্ত্র বাহিনীর পাশে দাঁড়িয়েছে।

সংঘর্ষে আমেরিকা ইরানের ফরদো ও নাটাঞ্জসহ তিনটি প্রধান পরমাণু কেন্দ্রে বিমান হামলা চালায়। পাল্টা জবাবে ইরান কাতারে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। তবে পেন্টাগনের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, বোমা ফেলার আগে ইরানের ইউরেনিয়াম মজুত আগেই সরিয়ে ফেলা হয়েছিল, তাই কেন্দ্রগুলোতে খুব বেশি ক্ষতি হয়নি।

খামেনি বলেন, “ইসরায়েলের হামলার সময় ইরান-আমেরিকার মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা চলছিল। আমরা তখন সামরিক তৎপরতা দেখাইনি, কিন্তু অনুমান করা যাচ্ছিল, এই ষড়যন্ত্রের পেছনে আমেরিকা রয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “ইসরায়েলকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে এবং দেওয়া হচ্ছে। ভবিষ্যতেও কঠোর শাস্তির পরিকল্পনা রয়েছে। আমেরিকার হস্তক্ষেপই প্রমাণ করে জায়নবাদী শাসন দুর্বল।”

বক্তব্যের শেষাংশে খামেনি বলেন, “ইরানি জাতিকে পরাজিত করা যাবে না এবং তারা কখনো কারও আগ্রাসনের সামনে আত্মসমর্পণ করবে না।”

বর্তমানে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকলেও উভয় পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগ তুলেছে। এই সংঘর্ষ ইরান-ইসরায়েল সম্পর্কের ইতিহাসে একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে।