ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৭৯, ত্রাণ নিতে গিয়ে নিহত ৪৯ জন

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন, ২০২৫, ৬:৫৮ অপরাহ্ণ
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৭৯, ত্রাণ নিতে গিয়ে নিহত ৪৯ জন

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের হত্যাযজ্ঞ থামছে না। মঙ্গলবার উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ৭৯ জন নিহত এবং আরও ২৮৯ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ত্রাণ নিতে গিয়ে ইসরাইলি সেনাদের গুলিতে অন্তত ৪৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আল-জাজিরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলের হামলায় গাজায় মোট ৫৬ হাজার ৭৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং এক লাখ ৩১ হাজার ৮৪৮ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু।

দুই মাসের যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার আগেই ১৮ মার্চ থেকে গাজায় ইসরাইলি হামলা শুরু হয়। তখন থেকে পাঁচ হাজার ৭৫৯ জন নিহত ও ১৯ হাজার ৮০৭ জন আহত হয়েছেন।

হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার মধ্য-গাজায় ত্রাণ নিতে গিয়ে ইসরাইলি সেনাদের গুলিতে অন্তত ২৫ জন নিহত হন। এছাড়া দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস ও উত্তরের গাজা নগরী ও রাফায় ত্রাণ নিতে যাওয়ার সময় ফিলিস্তিনিরা গুলিতে নিহত হয়েছেন। এসব ঘটনার ফলে ত্রাণ নিতে গিয়ে মোট ৪৯ জন নিহত হয়েছেন।

গত এক মাসে ইসরাইলি বাহিনীর গুলি ও গোলাবর্ষণে গাজায় অন্তত ৫১৬ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৩ হাজার ৭৯৯ জন আহত হয়েছেন।

যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ২ মার্চ থেকে গাজায় ত্রাণ প্রবেশ বন্ধ করে দেয় ইসরাইল। এতে দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি হয়। যুক্তরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) কিছু এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করছে, কিন্তু তা ২১ লাখ গাজাবাসীর চাহিদার তুলনায় খুবই অপ্রতুল। জাতিসংঘ এই ত্রাণ বিতরণ পদ্ধতির সমালোচনা করেছে এবং বলেছে, গাজায় ত্রাণকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার প্রধান ফিলিপ লাজ্জারিনি বলেছেন, ‘কথিত ত্রাণ বিতরণ একটি ঘৃণ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।’