মুরাদনগরের ধর্ষণকাণ্ডের দ্রুত বিচার নিশ্চিতে আইন উপদেষ্টার আশ্বাস

মাগুরার ঘটনার মতো কুমিল্লার মুরাদনগরের ধর্ষণকাণ্ডের বিচারও সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত সম্পন্ন করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। রোববার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের পর এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “মুরাদনগরে যে জঘন্য ঘটনা ঘটেছে, তাতে আমরা সবাই মর্মাহত ও ক্ষুব্ধ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। যারা ওই ঘটনার ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে, তারা অত্যন্ত দায়িত্বহীন কাজ করেছে। ইতোমধ্যে সবাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
সাংবাদিকদের উদ্দেশে আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, “ধর্ষণসংক্রান্ত আইন আমরা ইতোমধ্যে সংস্কার করেছি। মাগুরার ঘটনায় দ্রুত বিচার হয়েছে, সেই ধারাবাহিকতায় মুরাদনগরের ঘটনাও সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে নিষ্পত্তি করা হবে।”
উল্লেখ্য, কুমিল্লার মুরাদনগরের রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নে এক বিবস্ত্র নারীর ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়, যা নিয়ে দেশজুড়ে তীব্র সমালোচনা চলছে।
ঘটনার পর ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী নারী। মামলায় অভিযুক্ত ফজর আলীসহ মোট পাঁচজনকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ভুক্তভোগী হিন্দু নারী মামলায় উল্লেখ করেছেন, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে তিনি বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার রাত ১১টার পর তার বাবা-মা বাড়ির বাইরে গেলে সেই সুযোগে ফজর আলী বাড়িতে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করেন।
জেলা পুলিশের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ধর্ষণের অভিযোগের পর স্থানীয় লোকজন ফজর আলীকে মারধর করে, এরপর তিনি পালিয়ে যান। এ সময় কিছু ব্যক্তি ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে ভুক্তভোগী নারীর ভিডিও ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।
ভুক্তভোগী নারী জানান, টাকা ধার নেওয়ার সূত্র ধরে তাদের পরিবারের সঙ্গে ফজর আলীর পরিচয় হয়েছিল। সেই পরিচয়ের সুযোগ নিয়েই সে বাড়িতে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করে।
আপনার মতামত লিখুন