শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ: “এখন পালানোর পথ নেই” — অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এখন আর পালানোর কোনো পথ নেই। তিনি এই মন্তব্য করেছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তার ভেরিফায়েড আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে।
শফিকুল আলম তার পোস্টে সম্প্রতি বিবিসির একটি অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদন উল্লেখ করেন, যেখানে ২০২৩ সালের জুলাইয়ের গণআন্দোলনের সময় বিক্ষোভকারীদের ওপর ‘গণহত্যা’ চালানোর নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা আন্দোলন দমনে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছিলেন এবং একটি ফাঁস হওয়া ফোনালাপের অডিওতে তাকে সরাসরি গুলি চালানোর নির্দেশ দিতে শোনা গেছে।
তিনি লিখেছেন, “শেখ হাসিনাকে অবশ্যই গণহত্যার দায়ে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। তার আর পালানোর কোনো পথ নেই। দীর্ঘ ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে যে দমননীতি ও সহিংসতা চালানো হয়েছে, তার জন্য দায় এড়ানোর সুযোগ নেই। শেখ হাসিনা ও তার নির্দেশে যারা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তারাও শাস্তি এড়াতে পারবে না।”
বিবিসির অনুসন্ধানী ইউনিট ‘বিবিসি আই ইনভেস্টিগেশনস’ জানায়, তারা একটি ফাঁস হওয়া ফোনালাপের অডিও যাচাই করেছে, যেখানে শেখ হাসিনাকে বলেন, “যেখানেই ওদের পাওয়া যাবে, গুলি করা হবে।” ওই অডিওতে প্রধানমন্ত্রী নিরাপত্তা বাহিনীকে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দেন বলে দাবি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এই অডিও রেকর্ডিংয়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছে এবং শনাক্ত করেছে যে এতে শোনা কণ্ঠস্বর শেখ হাসিনার।
শফিকুল আলমের মন্তব্যের পর আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে বিচারের জন্য চাপ আরও তীব্র হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন