সেন্ট মার্টিন দ্বীপের বাস্তুতন্ত্র ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকার গ্রহণ করেছে বড় পরিসরের পরিকল্পনা

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই, ২০২৫, ৫:৪১ অপরাহ্ণ
সেন্ট মার্টিন দ্বীপের বাস্তুতন্ত্র ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকার গ্রহণ করেছে বড় পরিসরের পরিকল্পনা

সরকার সেন্ট মার্টিনের পরিবেশ রক্ষায় ব্যাপক উদ্যোগ নিচ্ছে। পর্যটকদের থেকে ‘পরিবেশ সংরক্ষণ ফি’ আদায় এবং স্থানীয়দের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থান তৈরির ব্যবস্থা করা হবে।

শনিবার (১২ জুলাই) পরিবেশ অধিদপ্তরে সেন্ট মার্টিন ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা নিয়ে এক সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, আগামী আগস্ট থেকে তিন বছর মেয়াদি প্রকল্প শুরু হবে।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ পর্যটকদের কাছ থেকে পরিবেশ ফি সংগ্রহ করবে যা দ্বীপের বাস্তুতন্ত্র রক্ষায় ব্যয় করা হবে। প্রাথমিকভাবে ৫০০ পরিবারকে হাঁস-মুরগি পালন, চিপস তৈরি ও কৃষির প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এছাড়া মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার সময় জেলেদের সহায়তা বৃদ্ধি করা হবে।

অক্টোবরের পর সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করা হবে এবং সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোকে বিকল্প ব্যবস্থা নিতে বলা হবে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক এ কে এম রফিকুল ইসলাম জানান, প্রায় ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে বিকল্প কর্মসংস্থান প্রকল্পে ১০ হাজার বাসিন্দাকে আনা হবে। ‘পরিবেশ প্রহরী’ নিয়োগসহ জলবায়ু-সহিষ্ণু ধান চাষ, পানির সরবরাহ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, সাগরলতা লাগানো ও কেয়ার বন গঠনের উদ্যোগ নেয়া হবে।

সেন্ট মার্টিনকে চারটি জোনে ভাগ করে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে — মাল্টিপল ইউজ জোন, বাফার জোন, জীববৈচিত্র্য রক্ষা জোন এবং কঠোর সংরক্ষণ জোন।

পর্যটনের চাপে জীববৈচিত্র্য কমে গেছে, বিদেশি উদ্ভিদ বিস্তার পেয়েছে এবং লবস্টার কমে গেছে। জাহাজের নোঙরে প্রবাল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

সভায় পরিবেশ সচিব, অতিরিক্ত সচিব, মহাপরিচালক, সরকারি সংস্থার প্রতিনিধিসহ টেকনাফের ইউএনও অনলাইনে উপস্থিত ছিলেন।