সংযুক্ত আরব আমিরাতের নতুন মনোনয়ন-ভিত্তিক গোল্ডেন ভিসা চালু, পেশাজীবীদের জন্য শর্ত শিথিল

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বুধবার, ১৬ জুলাই, ২০২৫, ৯:৩৮ অপরাহ্ণ
সংযুক্ত আরব আমিরাতের নতুন মনোনয়ন-ভিত্তিক গোল্ডেন ভিসা চালু, পেশাজীবীদের জন্য শর্ত শিথিল

সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) পেশাজীবীদের জন্য নতুন ধরনের ‘গোল্ডেন ভিসা’ চালুর ঘোষণা দিয়েছে, যেখানে আগের মতো বড় অঙ্কের বিনিয়োগের শর্ত আরোপ করা হয়নি। পাইলট প্রকল্প হিসেবে বাংলাদেশ ও ভারতের নাগরিকদের জন্য মনোনয়ন-ভিত্তিক এই ভিসা চালু হয়েছে। এতে নার্স, শিক্ষক, করপোরেট নির্বাহী, ইউটিউবার, পডকাস্টার, ই-স্পোর্টস পেশাজীবী, বিলাসবহুল ইয়ট মালিক ও মেরিটাইম নির্বাহীসহ বিভিন্ন পেশাজীবী ও ডিজিটাল নির্মাতারা অন্তর্ভুক্ত থাকবেন। নার্সদের ক্ষেত্রে অন্তত ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা বাধ্যতামূলক।

এই ভিসার জন্য আবেদনকারীদের মনোনয়ন প্রয়োজন হবে এবং আবেদন প্রক্রিয়া আমিরাতের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান রায়াদ গ্রুপের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। আবেদনকারীদের অর্থপাচার, অপরাধমূলক রেকর্ড, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহার ও পেশাগত দক্ষতা যাচাই করা হবে। এরপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আমিরাত সরকার নেবে। আবেদনকারীকে ভিসার জন্য দুবাই যেতে হবে না, অনলাইন অথবা স্থানীয় অফিস ও কল সেন্টারের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে।

নতুন ভিসা প্রাপ্তরা পরিবারসহ আমিরাতে আসতে পারবেন এবং গৃহকর্মী ও চালক নিয়োগের সুযোগ পাবেন। ব্যবসা ও পেশাগত কাজের ক্ষেত্রেও পূর্ণ স্বাধীনতা থাকবে। সম্পত্তি-ভিত্তিক গোল্ডেন ভিসার মত নয়, এই মনোনয়ন-ভিত্তিক ভিসা বিক্রি বা ভাগাভাগির কারণে বাতিল হবে না, বরং স্থায়ী থাকবে।

গোল্ডেন ভিসার জন্য আবেদন ফি ১ লাখ দিরহাম নির্ধারণ করা হয়েছে, যা প্রায় ৩৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা। ভারত ও বাংলাদেশে প্রথম ধাপে চালু এই প্রকল্পে আগামী তিন মাসে ভারতের পক্ষ থেকে ৫ হাজারের বেশি আবেদন আসার প্রত্যাশা রয়েছে।

এই কর্মসূচি সংযুক্ত আরব আমিরাতের কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ চুক্তি (সিইপিএ) স্বাক্ষরকারী দেশগুলোর জন্য চালু হয়েছে এবং ভবিষ্যতে এতে চীনসহ আরও দেশ যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।