কিশোরগঞ্জে ‘জুলাই শহীদ দিবস’ উপলক্ষে গণপদযাত্রা ও গণহত্যার বিচার দাবিতে সমাবেশ

‘জুলাই শহীদ দিবস’ উপলক্ষে গণহত্যার বিচার, দায়ীদের শাস্তি, ফ্যাসিস্টদের রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধকরণ এবং রাষ্ট্র সংস্কারের দাবিতে কিশোরগঞ্জে গণপদযাত্রা করেছে গণঅধিকার পরিষদ জেলা শাখা। বুধবার বেলা সাড়ে বারোটায় শহরের পুরানথানা এলাকা থেকে শুরু হওয়া পদযাত্রাটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আবার একই স্থানে শেষ হয়।
পদযাত্রা শেষে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেন, “গোপালগঞ্জে পুলিশের গাড়িতে আগুন এবং ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে, যার পেছনে নিষিদ্ধ সংগঠনগুলোর হাত রয়েছে বলে আমরা মনে করি। পুলিশের উপস্থিতিতে এমন হামলা মেনে নেওয়া যায় না।” তিনি আরও বলেন, “আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন রাষ্ট্রক্ষমতার সুযোগ নিয়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমন করেছে, কিন্তু এবার জনগণের ঘুরে দাঁড়ানোর সময় এসেছে। ছাত্র-জনতা ও বিভিন্ন রাজনৈতিক শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে আমরা দেশে গণভিত্তিক ও ন্যায়ভিত্তিক রাজনীতি প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নেমেছি।”
আবু হানিফ ২০২৪ সালের ১৬ জুলাই রংপুর ও চট্টগ্রামে আন্দোলনকারী নিহতদের স্মরণ করে বলেন, “তারা পুলিশের গুলির সামনে বুক পেতে দিয়েছিল এবং তাঁদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে আন্দোলন বেগবান হয়, যার ফলে এক বছর আগের ফ্যাসিবাদবিরোধী গণঅভ্যুত্থান সূচিত হয়েছিল। তবে এখনও সেই আকাঙ্ক্ষার পূরণ হয়নি।”
তিনি অভিযোগ করেন, “গণহত্যায় জড়িত অনেক আসামি এখনও আইনের আওতার বাইরে রয়েছে। প্রশাসনের নীরবতা প্রশ্নবিদ্ধ এবং সংস্কারের দৃশ্যমান অগ্রগতি না থাকায় জনগণের হতাশা বাড়ছে।”
গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-দপ্তর সম্পাদক মোখলেছুর রহমান উজ্জ্বল বলেন, “এক বছরেও গণহত্যার কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়নি, যার দায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এড়াতে পারবে না। যারা এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত, তাদের বিচারের মুখোমুখি না করে রাজনীতি করার সুযোগ দেওয়া যাবে না।”
সমাবেশ সঞ্চালনা করেন গণঅধিকার পরিষদ কিশোরগঞ্জ জেলার সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম। এছাড়া জেলা সাধারণ সম্পাদক অভি চৌধুরী, সহ-সভাপতি শহিদুল ইসলাম শহিদ, মাসুদুল ইসলাম সোহেল, আলহাজ শামসুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ কাজল, ইমরান হাসান, অর্থ সম্পাদক আশিকুর রহমান মাহফুজ, সহ-আইন সম্পাদক ফজল মোল্লা, যুব অধিকার পরিষদের জেলা সভাপতি সোহাগ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক হাসান আহমেদ রমজান, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি ইমন খান, সাধারণ সম্পাদক পায়েল চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক ফয়সাল এবং শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আপনার মতামত লিখুন