বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের জালাল উদ্দিন আহমদের কঠোর হুঁশিয়ারি: “গোপালগঞ্জ নয়, কোথাও আওয়ামী লীগকে দাড়াতে দেওয়া হবে না”

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় মহাসচিব জালাল উদ্দিন আহমদ শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর ঢাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তরে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল থেকে বলেন, খুনি শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে গেলেও তার ষড়যন্ত্র এখনও বন্ধ হয়নি। তার দোসররা দেশের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান করছে এবং সরকার তাদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির আওতায় আনতে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি গোপালগঞ্জে এনসিপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশে শেখ হাসিনার নির্দেশে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের হামলার নিন্দা করার ভাষা নেই বলেও মন্তব্য করেন।

জালাল উদ্দিন আহমদ আরও বলেন, গোপালগঞ্জ নয়, সারা বাংলাদেশে কোথাও আওয়ামী লীগকে দাঁড়াতে দেওয়া হবে না। যেখানেই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ বা ছাত্রলীগ পাওয়া যাবে, জনগণ তাদের প্রতিরোধ করবে। তিনি বর্তমান সরকারের সমালোচনা করে জানান, জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের কার্যালয় ঢাকায় স্থাপনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে, কারণ দেশের মানুষ মানবাধিকারের কার্যালয় দেখতে চায় না।

তিনি দেশের বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও সন্ত্রাসীদের অবাধ অবস্থানের কথাও উল্লেখ করে বলেন, আওয়ামী লীগের পতন হয়েছে; তারা যেসব জায়গায় দখল করতো, এখন সেখানে অন্য একটি গ্রুপ বসে আছে। সরকারকে শক্তিশালী হয়ে এসব বন্ধ করার নির্দেশ দেন এবং সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

জালাল উদ্দিন উল্লেখ করেন, ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরে, ২০২১ এবং ২০২৪ সালে তারা জীবন দিয়েছে। তিনি বলেন, খুনি শেখ হাসিনা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য জুলাই-আগস্ট গণহত্যা চালিয়েছে, যার শিকার হয়েছে শত শত মানুষ, যার বিচার এখনও দৃশ্যমান হয়নি। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, খুনি হাসিনা ও তার দোসরদের শাস্তি নিশ্চিত করতে, কারণ দেশের জনগণ তাদের ফাঁসির রায় দেখতে চায়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে পাখির মতো গুলি করে মানুষ হত্যার ঘটনা এখনও বিচারহীন। তারা সতর্ক করে বলেন, ফ্যাসিস্টরা যেন মাথাচাড়া দিতে না পারে, এলে কঠোর প্রতিরোধ করা হবে।

সমাবেশ শেষে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নেতারা জুলাই-আগস্ট গণহত্যার বিচারের দাবিতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তরে থেকে পল্টন মোড় হয়ে বিজয়নগর পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করেন, যা কেন্দ্রীয় মহাসচিব জালাল উদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয়।