বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি ও বক্তব্যে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি

রাজনৈতিক অঙ্গনে আবারও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির জাতীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে দলটির স্বেচ্ছাসেবক টিম কাজ করছে সমন্বিতভাবে। শৃঙ্খলা রক্ষায় ৬ হাজারেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত রয়েছে। তারা রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ও সমাবেশস্থলের প্রবেশপথে দায়িত্ব পালন করছে, যাতে কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়।
এদিকে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস এক মৌন মিছিলে সরকারের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার প্রোগ্রাম না করে দ্রুত নির্বাচন দিন। তাহলেই দেশে শান্তি ফিরে আসবে। তিনি শহীদদের স্মরণ করে বলেন, তাদের আত্মত্যাগ নিয়ে কেউ কেউ রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার চেষ্টা করছে, যা দুঃখজনক। শহীদরা কোনো ব্যক্তি বা দলকে নয়, বরং দেশের মানুষের মুক্তির জন্য জীবন দিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। একই সঙ্গে, আওয়ামী লীগের সঙ্গে তুলনা করে বিএনপিকে হেয় করা বন্ধ করার আহ্বান জানান।
অন্যদিকে, নারায়ণগঞ্জে পথসভায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, গোপালগঞ্জে এনসিপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলার পর আওয়ামী লীগ তওবা করার সুযোগও হারিয়েছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন মানেই জনগণের জীবনের পরোয়ানা জারি করা। এ পরিস্থিতিতে “বাংলাদেশ উইদাউট আওয়ামী লীগ” আন্দোলনের ডাক দেন তিনি এবং দেশবাসীকে এই লড়াই সম্পন্ন করার আহ্বান জানান।
এই সব বক্তব্য ও কর্মসূচি রাজনৈতিক অঙ্গনে টানাপোড়েন আরও বাড়িয়ে তুলেছে। প্রতিপক্ষের প্রতি তীব্র ভাষায় আক্রমণ ও পাল্টা-আক্রমণের মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিবেশ ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে।
আপনার মতামত লিখুন