ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনায় নতুন শঙ্কা: সতর্কবার্তা ইরানপন্থি গোষ্ঠীগুলোকে

মধ্যপ্রাচ্যে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে আবারও উত্তেজনার নতুন রাউন্ডের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে ইরানের কুদস ফোর্সের কমান্ডার ইসমাইল ক্বানি ইরাকের মিত্র সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে সম্ভাব্য ইসরায়েলি বিমান হামলার বিষয়ে সতর্ক করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ‘লং ওয়ার জার্নাল’-এর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, সম্প্রতি বাগদাদে ইরানপন্থি মিলিশিয়া নেতাদের সঙ্গে সরাসরি এক বৈঠকে বসেন ক্বানি, যা অনেকের চোখে এক ধরনের বিরল ও স্পষ্ট হস্তক্ষেপ হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছে।

তেহরান আশঙ্কা করছে, ইসরায়েল ইরাকের অভ্যন্তরে হামলা চালাতে পারে। এই প্রেক্ষাপটে ইরান সমর্থিত যেসব গোষ্ঠী সক্রিয় রয়েছে তাদের মধ্যে আসায়েব আহল আল-হাক, হারাকাত হেজবুল্লাহ আল-নুজাবা, কাতায়িব হেজবুল্লাহ ও কাতায়িব সাইয়্যিদ আল-শুহাদা অন্যতম। এসব গোষ্ঠী সম্প্রতি ইরানের প্রতি সমর্থন জানালেও এখন পর্যন্ত ইরান-ইসরায়েল সরাসরি সংঘাতে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়নি।

বিশ্লেষকদের মতে, এই সংযমের পেছনে মূল কারণ হলো তেহরানের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষা। ইরাক ইরানের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক করিডোর, যেখানে প্রতিবছর আনুমানিক এক বিলিয়ন ডলারের অবৈধ তেল বাণিজ্যের মাধ্যমে অর্থ আসে। পাশাপাশি, ইরাকের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সরকারি খাতে এসব গোষ্ঠীর যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে, যা ইরানের স্বার্থসংশ্লিষ্ট।

সম্প্রতি ১২ দিনের ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধ চলাকালে ইরাকে উল্লেখযোগ্য কোনো হামলা হয়নি, তবে আন-আল-আসাদ সামরিক ঘাঁটি এবং এরবিলের মার্কিন কনস্যুলেটের ওপর ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে এসব হামলার দায় এখন পর্যন্ত কেউ স্বীকার করেনি। যদিও যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলবিরোধী বক্তব্য সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর পক্ষ থেকে একাধিকবার এসেছে, তবুও তারা এখনো পর্যন্ত নিজেদের কার্যক্রম বক্তব্য আর বিবৃতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ রেখেছে।