কুষ্টিয়া শহরের রাস্তাঘাটের বেহাল দশা: পৌর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা নিয়ে জনদুর্ভোগ

কুষ্টিয়া শহরের অধিকাংশ রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে থাকলেও পৌর কর্তৃপক্ষের কোনো করণীয় নেই। মজমপুর গেট থেকে বড়বাজার পর্যন্ত মূল সড়ক চলাচলের উপযোগী থাকলেও আশপাশের রাস্তাগুলো এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত যে রিকশা, অটোরিকশাসহ ছোট যানবাহন প্রতিদিন দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। এতে নগরবাসী জীবন ঝুঁকি নিয়ে চলাফেরা করছেন।
শহরের ২১টি ওয়ার্ডের মধ্যে কোর্টপাড়া, সরকারি কলেজ, হাউজিং, টালিপাড়া, আমলাপাড়া, কুঠিপাড়া, থানাপাড়া, জেনারেল হাসপাতাল চত্বর ও মিলপাড়াসহ প্রায় সব এলাকার সড়ক ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এসব এলাকার ড্রেনগুলো অপরিষ্কার ও সরু হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়, যা বর্ষা মৌসুমে দুর্ভোগকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
নগরবাসী অভিযোগ করেছেন, পৌর কর্তৃপক্ষ মাসের পর মাস রাস্তার ওপর কেবল খোয়া ফেলে দায়িত্ব শেষ করার চেষ্টা করছে। কোথাও রোলার চালালেই পরিস্থিতি ভালো হবে, সেটিও করছে না তারা। বিশেষ করে থানা ট্রাফিক মোড়, রামচন্দ্র রায় স্ট্রিট, কোর্টপাড়া, র্যাব গলি ও হাসপাতাল মোড়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় রাস্তার অবস্থা ক্রান্তিকালীন। এই রাস্তাগুলোতে বহু প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠেছে, ফলে পথচারী ও রোগীরা আরও দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, কুষ্টিয়া পৌরসভা প্রথম শ্রেণির হলেও নাগরিক সুবিধার ক্ষেত্রে তা অনেক নিচে। কর, লাইসেন্স ফি, পানির বিল ও ডিজিটাল নেমপ্লেটের নামে বাড়তি অর্থ আদায় বাড়লেও সেবার মান প্রায় নেই। স্থানীয়রা দাবি করেন, আওয়ামী লীগের শাসনামলে পৌরসভার দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা বেড়েছে।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ওয়াহিদুর রহমান বলেন, “সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন। টেন্ডার শেষ হয়েছে। তবে টানা বর্ষণের কারণে কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। অস্থায়ীভাবে খোয়া ফেলে কিছুটা মেরামত করা হচ্ছে। বর্ষা শেষে বিটুমিন দিয়ে টেকসই রাস্তা নির্মাণ করা হবে।”
আপনার মতামত লিখুন