আড়াইহাজারে দোকান ভাড়াকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যা, মামলা হলেও গ্রেপ্তার হয়নি কেউ

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার শালমদী নয়াবাজার এলাকায় দোকান ভাড়াকে কেন্দ্র করে এক ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হলেও ঘটনার একদিন পরও পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
ঘটনাটি ঘটে ৩০ জুলাই (বুধবার) সকালে। নিহত জাহাঙ্গীর মিয়া (৫০) নিজ মালিকানাধীন দোকানে পার্টিশন দেওয়ার সময় স্থানীয় একটি রাজনৈতিক পক্ষের সঙ্গে তার কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষ বাধে। জাহাঙ্গীর মিয়া বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ‘সুমন গ্রুপ’-সংশ্লিষ্ট একটি প্রভাবশালী পক্ষের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে তিনি গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান, যেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পর নিহতের স্ত্রী সেলিনা বেগম (৪৬) ওই রাতেই আড়াইহাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৮–১০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এজাহারে উল্লেখিত আসামিরা হলেন—তোতা প্রধান ওরফে তোতা মেম্বার (৭০), বেনু প্রধান (৭৫), আলম প্রধান (৪৫), রাসেল প্রধান (৩৫), খোকন প্রধান (৪০), সাদ্দাম (৩৫), জাহাঙ্গীর প্রধান (৪০), হানিফা (৪৫) ও হাসেম (৪৫)। তারা সবাই মাহমুদপুর ইউনিয়নের শালমদী গ্রামের বাসিন্দা।
মামলায় বলা হয়, তোতা মেম্বার নিহত জাহাঙ্গীর মিয়ার পরিবারের মালিকানাধীন তিনটি দোকান দীর্ঘদিন ধরে ভাড়া না দিয়ে দখলে রেখেছিলেন। বারবার ভাড়া চাওয়ার পরও না দেওয়ায় ঘটনার দিন সকালে জাহাঙ্গীর নিজ অংশে পার্টিশন দেওয়ার চেষ্টা করলে আসামিরা দলবদ্ধভাবে লাঠি ও রড দিয়ে তার ওপর হামলা চালায় এবং ঘটনাস্থলেই তাকে মারাত্মকভাবে আহত করে।
এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই একে দীর্ঘদিনের পূর্ব বিরোধ ও স্থানীয় প্রভাব বিস্তারের জের হিসেবে দেখছেন।
আড়াইহাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার নাসির উদ্দিন জানান, “ঘটনার তদন্ত চলছে এবং আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।” তবে ঘটনার পর একদিন পার হলেও মামলার প্রধান আসামিসহ এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে না পারায় নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন