নাটোরে চাঁদা না পেয়ে ১০ দোকানে তালা, জামায়াত ও বিএনপি সংশ্লিষ্ট ৪ জন গ্রেপ্তার

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১ আগস্ট, ২০২৫, ৮:০০ অপরাহ্ণ
নাটোরে চাঁদা না পেয়ে ১০ দোকানে তালা, জামায়াত ও বিএনপি সংশ্লিষ্ট ৪ জন গ্রেপ্তার

নাটোরের বড়াইগ্রামে চাঁদা না পেয়ে ১০টি দোকানে তালা দেওয়ার অভিযোগে জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৮ জুলাই) সন্ধ্যায় উপজেলার আহম্মেদপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন জামায়াত নেতা রুহুল আমিন (৪৫), তার ভাই জামায়াতকর্মী আজিমুদ্দিন (৪০), বিএনপি কর্মী হায়দার আলী (৪৮) ও তার বাবা মুজিবর রহমান (৭০)। তারা সবাই আহম্মেদপুর এলাকার বাসিন্দা।

এ ঘটনায় জাহাঙ্গীর আলম নামের এক দোকানি বাদী হয়ে বড়াইগ্রাম থানায় মোট ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। মামলায় তিনি, নওপাড়া গ্রামের কোরবান আলী, শাহ আলম হোসেন ও মোতালেব হোসেন দাবি করেছেন, তারা ওই জমির মালিক এবং সেখানে তাদের ১০টি দোকান রয়েছে।

জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে রুহুল আমিন ও তার ভাইয়েরা তাদের কাছে মাসে পাঁচ হাজার টাকা করে চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সোমবার দুপুরে তারা দেশীয় অস্ত্রসহ ৪০–৫০ জন সহযোগী নিয়ে দোকানিদের মারধর করেন ও দোকানগুলোতে তালা লাগিয়ে দেন। পরে বাধ্য হয়ে চাঁদা দিয়েই মুক্তি পান বলে জানান তিনি।

অন্য দোকানি কোরবান আলী বলেন, বিকেলে সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে তালাবদ্ধ ১০টি দোকান খুলে দেন এবং অভিযুক্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেন।

তবে অভিযুক্ত জামায়াত নেতা রুহুল আমিন দাবি করেন, জমিটি তাদের মালিকানাধীন এবং দোকানিরা অবৈধভাবে দখল করে রেখেছেন। বিষয়টি আদালতে চলমান আছে বলেও জানান তিনি। তবে এভাবে তালা দেওয়াকে ‘সঠিক হয়নি’ বলে স্বীকার করেন।

বিএনপি কর্মী হায়দার আলী জানান, ঘটনার সমাধানে জামায়াতের স্থানীয় নেতাদের মাধ্যমে একটি সমঝোতা কমিটি গঠন করা হয়েছিল। দুই পক্ষই জামানত হিসেবে টাকা জমা দিয়েছিল। কিন্তু দোকানিরা সমঝোতা মানেননি, তাই তারা দখল নেন। যদিও তারাও স্বীকার করেন, পদ্ধতিটি ‘ভুল’ ছিল।

জামায়াতের সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মালেক বলেন, রুহুল আমিন ও তার ভাইয়ের ঘটনায় দলীয়ভাবে খতিয়ে দেখা হবে এবং প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বড়াইগ্রাম থানার ওসি গোলাম সারোয়ার হোসেন বলেন, চাঁদা না পেয়ে দোকানে তালা দেওয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে।