ফরিদপুরের সালথায় পলাতক চেয়ারম্যান মো. ফারুকুজ্জামান ফকির মিয়ার অপসারণ দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান মো. ফারুকুজ্জামান ফকির মিয়ার অপসারণের দাবিতে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের ইউপি সদস্যরা সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
বুধবার দুপুরে সালথা প্রেসক্লাবের হলরুমে অনুষ্ঠিত এই সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও পরিষদের কার্যক্রমে অনুপস্থিত থাকার অভিযোগ তুলে তার অপসারণ দাবি করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. আবু মোল্যা। তিনি অভিযোগ করেন, “চেয়ারম্যান ফারুকুজ্জামান পরিষদের অধিকাংশ বরাদ্দ আত্মসাৎ করেছেন, প্রকল্প আংশিক সম্পন্ন করে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন, দলীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে সাধারণ সদস্যদের অবহেলা করেছেন এবং পরিষদের উন্নয়ন কাজ ব্যাহত করেছেন।”
তিনি আরও বলেন, “গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে তিনি এলাকা ছেড়ে পলাতক রয়েছেন, ফলে জনসাধারণ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।”
ইউপি সদস্যরা দ্রুত চেয়ারম্যানকে অপসারণ করে প্যানেল চেয়ারম্যানের মাধ্যমে পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।
জানা গেছে, ফারুকুজ্জামান ফকির মিয়া ২০১৬ ও ২০২১ সালে নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তবে বিভিন্ন অভিযোগের মধ্যে ভিজিডি, গর্ভবতী ও প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড তৈরিতে ঘুষ নেওয়া, ভিজিএফ চাল বিক্রি, বিভিন্ন প্রকল্পে অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাৎ রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বিএনপির শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকুর গাড়ি ভাঙচুর মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান জানান, গ্রেপ্তারির জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান বালী বলেন, “চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
চেয়ারম্যান ফারুকুজ্জামান ফকির মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি এবং মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন