২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত বিশেষ সতর্কতা: সম্ভাব্য নৈরাজ্য রুখতে নিরাপত্তা জোরদার

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১ আগস্ট, ২০২৫, ৮:১১ অপরাহ্ণ
২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত বিশেষ সতর্কতা: সম্ভাব্য নৈরাজ্য রুখতে নিরাপত্তা জোরদার

জুলাই ও আগস্ট মাসজুড়ে দেশজুড়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে নির্দিষ্টভাবে ১১ দিনের বিশেষ সতর্কতার কোনো বিষয় জানেন না বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) গণমাধ্যমকে তিনি জানান, পুরো মাসই পুলিশ সতর্ক থাকবে।

এদিকে পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) থেকে প্রেরিত একটি সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত সময়কে ‘বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই সময়টিতে অনলাইন ও অফলাইনে সংঘবদ্ধ প্রচারণার মাধ্যমে দেশে বিশৃঙ্খলা বা নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা হতে পারে।

বিশেষ সতর্কবার্তায় উল্লেখ করা হয়, আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকলেও দলটির নেতাকর্মীরা দেশে-বিদেশে ছদ্মবেশে তৎপর রয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, তারা গোপনে একত্র হয়ে সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় হামলা কিংবা সহিংসতার পরিকল্পনা করতে পারেন। এই প্রেক্ষাপটে দেশের সব পুলিশ ইউনিটকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

এসবির নির্দেশনায় যা যা বলা হয়েছে:

  • রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ।
  • সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও যানবাহনের তল্লাশি।
  • গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা জোরদার।
  • সাইবার গোয়েন্দা নজরদারি ও মোবাইল প্যাট্রল বৃদ্ধি।
  • বাস টার্মিনাল, রেলস্টেশন, বিমানবন্দর ও লঞ্চঘাট এলাকায় তল্লাশি।
  • গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল ও অনলাইনে উসকানিমূলক কার্যক্রম শনাক্তকরণ।

এছাড়া, পুলিশের দাবি অনুযায়ী, আওয়ামী লীগের কিছু যুব ও ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা মাঠপর্যায়ে সক্রিয় না থাকলেও অনলাইনে ‘ভার্চুয়াল স্কোয়াড’ তৈরি করেছে, যারা ফেসবুক, টেলিগ্রাম ও ইউটিউব চ্যানেল ব্যবহার করে সামাজিক অস্থিরতা ছড়ানোর চেষ্টা করছে।

এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “আওয়ামী লীগের দোসররা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। তাদের কঠোরভাবে দমন করা হবে। দেশে বা বিদেশে যারা বসে অশান্তি সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এই প্রেক্ষাপটে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে মাঠপর্যায়ে সর্বোচ্চ প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে, যাতে কোনো উসকানি বা সহিংসতার আগেই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়।