ঈদযাত্রায় দুর্ঘটনা ও যানজট কমাতে মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহন বন্ধের দাবি

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ২ জুন, ২০২৫, ৭:২৭ অপরাহ্ণ
ঈদযাত্রায় দুর্ঘটনা ও যানজট কমাতে মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহন বন্ধের দাবি

ঈদ উপলক্ষে যাত্রীদের দুর্ভোগ, দুর্ঘটনা ও যানজট কমাতে মেয়াদোত্তীর্ণ, ফিটনেসবিহীন বাস, ট্রাক, নৌযানসহ সব ধরনের ঝক্কড়-লক্কড় যানবাহন বন্ধের দাবি জানিয়েছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। সমিতির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ জকরিয়া ও মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরীর পাঠানো এক বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রতিবছর ঈদে মেয়াদোত্তীর্ণ বাস, ট্রাক, লেগুনা, টেম্পু, মাইক্রোবাস, নছিমন-করিমন ও সিটি সার্ভিসের বাস-মিনিবাস যাত্রী পরিবহনে ব্যবহৃত হয়, যা দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ায়। রেলপথেও পুরনো কোচ ও ইঞ্জিন ব্যবহারের কারণে দুর্ঘটনা, লাইনচ্যুতি ও যানজট সৃষ্টি হয়। এবারের ঈদে এসব দুর্ঘটনা প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া ও সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি জরুরি বলে মনে করা হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, দেশের সড়কে প্রায় ৫ লাখ যানবাহনের ফিটনেস নেই। এর মধ্যে রয়েছে ৫ লাখ ইজিবাইক, ৬০ হাজার সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ৭ লাখ ব্যাটারিচালিত রিকশা, ১ লাখ নছিমন-করিমন ও ২০ লাখ মোটরসাইকেল। পাশাপাশি মহাসড়কের পাশে পশুরহাট ও পশুবাহী ট্রাক চলাচল জাতীয় মহাসড়কে যানজট ও যাত্রীবাহী বাসের গতি কমিয়ে দেয়। এজন্য এসব যানবাহন জাতীয় মহাসড়ক থেকে জরুরি ভিত্তিতে উচ্ছেদ করার দাবি জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে সড়ক-মহাসড়ক থেকে অবৈধ দখল মুক্ত করে যানবাহনের স্বাচ্ছন্দ্যময় চলাচলের জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর তৎপরতা বৃদ্ধির আহ্বান জানানো হয়েছে। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ আনফিট নৌযানের চলাচল বন্ধ এবং অতিরিক্ত যাত্রী বহন নিষিদ্ধ করার দাবি করা হয়েছে।

অপরদিকে, বাস, লঞ্চ ও রেল স্টেশনগুলোতে যাত্রীদের বসার ও শৌচাগারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। ঈদযাত্রায় ছিনতাই, অজ্ঞানপাটি, মলমপাটি, টানাপাটিসহ অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর তৎপরতা ও গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করারও অনুরোধ করা হয়েছে।