ইসরায়েল-ইরান সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বাড়ছে

ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানের মধ্যে চারদিন ধরে পাল্টাপাল্টি হামলা ও প্রতিহিংসার ঘটনা ঘটছে। এতে উভয় দেশের মধ্যে নিহত ও আহতের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। আজ সোমবার ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলে অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন। গত শুক্রবার থেকে আজ পর্যন্ত ইসরায়েলে নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ২০ জনে। বিশেষ করে মধ্য ইসরায়েলের বিভিন্ন এলাকায় হামলায় চারজন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে দুইজন নারী রয়েছেন। বন্দরনগরী হাইফায় দুইজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে এবং তিনজন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। তেল আবিব, জেরুজালেমসহ ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে জরুরি সতর্ক সংকেত (সাইরেন) বাজানো হচ্ছে। ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানায়, তারা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রতিহত করার পাশাপাশি পাল্টা হামলাও চালাচ্ছে।
অন্যদিকে ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় রোববার পর্যন্ত ইরানে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২২৪ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৯০ শতাংশের বেশি বেসামরিক নাগরিক। আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১,২৭০ জনকে, যার মধ্যে সাতজনের অবস্থা গুরুতর। ইরানে অনেক মসজিদ ও মেট্রো স্টেশন অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। গত ১৩ জুন ইসরায়েলি বিমান হামলায় ইরানের নাতাঞ্জ ও ইসফাহান অঞ্চলের পারমাণবিক স্থাপনা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই হামলায় বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা ও পারমাণবিক বিজ্ঞানী নিহত হন।
এই সংঘাত মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতায় বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি করেছে এবং সাধারণ মানুষের জীবন যাপন ভীষণভাবে প্রভাবিত করেছে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী ও জরুরি পরিষেবাগুলো হামলা মোকাবিলায় তৎপর রয়েছে, তবে পরিস্থিতি এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা ও সংঘর্ষ অব্যাহত থাকায় পরিস্থিতির উন্নয়নের জন্য আন্তর্জাতিক সমাজের নজরদারি এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের প্রচেষ্টা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে।
আপনার মতামত লিখুন