ইরান-ইসরায়েলের সংঘাত: আইআরআইবিতে বোমা হামলা ও সামরিক অভিযানের বর্ণনা

ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল আইআরআইবিতে ইসরায়েলের যুদ্ধ বিমান দ্বারা বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে, যার ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। ওই ফুটেজে দেখা যায়, একজন নারী নিউজ অ্যাঙ্কর স্টুডিওতে সংবাদ পাঠ করার সময় হঠাৎ বিস্ফোরণের শব্দে স্টুডিও কেঁপে ওঠে এবং ধুলো বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে। ওই নারী দ্রুত আসন ত্যাগ করে নিরাপদ স্থানে চলে যান।
এই হামলার পূর্বে তেহরানের আইআরআইবির সদর দপ্তর অবস্থিত এলাকার বাসিন্দাদের ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) নিরাপত্তার স্বার্থে এলাকা ত্যাগ করার নির্দেশ দেয়। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ বলেন, “ইরানের শাসকগোষ্ঠীর প্রোপাগান্ডা ও উসকানি ছড়ানোর ক্ষমতা শিগগিরই শেষ হবে।”
গত ১৩ জুন ভোর ৪টায় ইসরায়েলের বিমানবাহিনী (আইএএফ) ইরানের রাজধানী তেহরানসহ অন্তত আটটি শহরে ব্যাপক বিমান হামলা চালায়। এ অভিযানে ইরানের পরমাণু অস্ত্র প্রকল্প ও সামরিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করা হয়। বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, হামলায় ইরানের প্রায় ১০০টি স্থাপনার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং সেনাপ্রধান মোহাম্মদ বাঘেরিসসহ কয়েকজন শীর্ষ সেনা ও গোয়েন্দা কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী এই অভিযানকে ‘দ্য রাইজিং লায়ন’ নাম দিয়েছে।
উল্লেখযোগ্য, ইসরায়েলের এই হামলার পরই ইরান ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ থ্রি’ নামে প্রতিশোধমূলক সেনা অভিযান শুরু করে। ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের হামলায় গত চার দিনে ইরানে কমপক্ষে ২৪৪ জন নিহত হয়েছেন। অপরদিকে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলে নিহতের সংখ্যা ২৪ জন এবং আহত হয়েছেন ৫৯২ জন, যার মধ্যে অন্তত ১০ জনের অবস্থা সংকটাপন্ন।
দুই দেশের মধ্যকার সংঘাত এখনও অব্যাহত রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন